মশা

দেখো মশাটা, দেখো দেখো,
কত ক্ষুদ্র যাকে তুমি অবজ্ঞা কর ঠিক আমার মতই;
সে প্রথম চুষে নিল আমার শরীরের রক্ত, এখন তোমার,
এবং এই মশাতেই এখন রক্ত মিশেছে দু’জনার, তুমি আমি,
রক্তে রক্তে একাকার!
তুমি জানো, যা ঘটে গেলো তা মুখে বলা যায় না,
এটা কোন পাপ, লজ্জা বা সতীত্ব হারানো নয়;
তবুও সে উপভোগ করছে পাণি প্রার্থনার আগেই,
আর হায়! সে উপভোগ করছে আমাদের চেয়ে ঢের বেশীই।

দাড়াও, মেরো না! একটা মশাতে তিনটে জীবন,
যেখানে রক্তে রক্তে মিশে আছি তুমি আমি, বিবাহিতের চেয়েও বেশী,
মশাটা তুমি, আমি এবং সে নিজে,
মশাটাই আমাদের বাসর শয্যা, আমাদের বিবাহ মন্দির,
যদিও পিতা-মাতার অমত, তবুও আমাদের বিয়েটা হয়েই গেছে
এই জীবন্ত দেয়াল ঘেরা মন্দিরে।
আমায় এখন তুমি মেরে ফেলতে চাইতেই পার,
কিন্তু পবিত্র মশাটাকে মেরে আত্মহত্যা করোনা,
পাপী হইয়ো না তিন তিনটে খুনের!

কি নিষ্ঠুর তুমি,
পারলে নিরীহের রক্তে নখ রাঙাতে?
তোমার এক ফোঁটা রক্ত নেয়া ছাড়া
আর কি পাপে পাপী ছিল সে?
তুমিই জিতলে, আমি না হয় হেরেই গেলাম,
সত্যি! কিন্তু জেনে রাখো ভয় কতটা অমূলক,
আমার দিকে ছুড়ে দেয়া প্রতিটা চিৎকারে তুমি ততটুকু সম্মান খোয়াবে,
মশাটার মৃত্যু ঠিক যতটুকু জীবন নিয়ে গেছে তোমার ভেতর থেকে।

অনুবাদ

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬।

মুলঃ দ্যা ফ্লি-জন ডান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *