আমি তো জানি না কিভাবে ভালোবাসতে হয়, ভালোবাসার কি কোন পন্থা আছে? আছে বোধয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী তো পার হইল ভালোবাসার রাস্তা খুঁজতে গিয়া, কিন্তু শুরুই হইল না এখনো ভালোবাসা। মহাকালের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জইমা উঠে ক্লান্তিতে জড়াইয়া আসে আমার জোড়া পা। এরই মধ্যে দৃশ্যমান হও তুমি, হও কি? নাকি আমিই […]
Category: কবিতা
তুমি কি হাসতেছ?
পৃথিবীতে আগুন লাইগা গেছে! তুমি কি হাসতেছ? তুমি তো ডুইবা আছো গভীর অন্ধকারে। এখন কি আলো চাইবা না? তোমার এই দেহটারে দেখো – যেন একটা অঙ্কিত পুতুল, একটা খেলনা, জোড়া দেওয়া, অসুস্থ, এবং মিথ্যা কল্পনায় টইটম্বুর। এইটা একটা ছায়া যা স্থান বদলায়, মুইছা যায়। কতটা ভঙ্গুর এই দেহ! ভঙ্গুর এবং আকস্মিক, এইটা অসুস্থ হয়, পচন […]
তুমি বাগান হইয়া শুইয়া থাকো
তুমি বাগান হইয়া শুইয়া থাকো আর আমি চাইয়া থাকি পলকহীন, গভীর স্পৃহা। আমার গ্রামের বাড়ির একটা খোলা জানালা — এই যেন তুমি বাহির হইয়া পড়লা, উদ্বিগ্ন, আমার সাক্ষাতের আকাংখায়। যেইসব রাস্তায় আমার দৈবাৎ দেখা মেলে — তুমি মৃদু পায়ে হাইটা বেড়াও, অতঃপর মিলাইয়া যাও শূন্যতায়। এবং মাঝে মাঝে, কোন এক দোকানের আয়নায় তুমি ভাইসা উঠো, […]
তোমারে দেখি না আমি
তুমি এইখানেই ছিলা, আমি দেখি নাই তুমি এইখানেই আছো, আমি দেখতে পাইতেছি না এইখানেই থাকবা তুমি, আমি দেখতে পাব না জন্মের আগেই আমার চোখে ফিল্টার বসানো হইছে, যেন দেখতে না পাই তোমারে তোমারে দেখার স্বাদ কি আমার জাগে? মনে হয় না, তবে তোমারে দেখি না এইটা খালি মনে হয় এই যে না দেখাদেখি, এইটাতে কি […]
দুই লাইনের কবিতারা
হুইস্পার ●● তোমার সৌরভ, যেন ঘোর অন্ধকারে নীরবতার কর্ণভেদী ফিস্ ফিস্। *** থান্ডার ●● তুমি বজ্রধ্বনি, ভগ্ন হৃদয়কে নির্মাণ করো, আমাকে করো দুই ভাগ। *** সিম্ফোনি ●● তোমার অম্লমধুর মিথ্যারা কর্ণকুহরে বাজিয়ে যায় মহা ঐকতান। *** অপটিমিজম ●● ইঙ্গিতপূর্ণ আদিম স্রোতের টানে, সীমাহীন সমুদ্র তটে একত্রে হেঁটে বেড়াব দু’জন। *** মিউজ ●● একবার যদি হৃদয় […]
আমি বইসা থাকি, তুমি আসবা বইলা
আমি বইসা থাকি তুমি আসবা বইলা কোন অপেক্ষা নাই এই বইসা থাকায় এইটা কেবল বইসা থাকা অপেক্ষাহীন আসবা তুমি শব্দদের পিঠে চইড়া একটা জুতার মত যার ভিতরে কোন পাও নাই, একটা জুব্বার মত যার ভিতরে কোন শরীর নাই, ঠকঠক করবা তুমি আমার দরজায়, তোমার হাতের আংটিটা দিয়া, যার ভিতরে কোন পাথর নাই, কোন আঙ্গুলও নাই। […]
জেন হাইকু সমগ্র
ভূমিকা জাপানি শর্ট ফর্মের কবিতা হাইকু। জাপানি হাইকু লেখা হয় এক লাইনে। ট্র্যাডিশনাল হাইকুতে সিলেবাল থাকে ১৭ টা। কিন্তু মডার্ন হাইকুতে সিলেবাল আরও বেশীও থাকতে পারে এবং লাইন হয় একাধিক। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তা হয় তিন লাইন। হাইকুর মূল সত্তা ঠিক রেখে লুজ ট্রান্সলেশন হয় বিভিন্ন ভাষায়। হাইকুতে মূলত একটা সিঙ্গেল ইমেজকে তুলে ধরা হয়। ইমেজটা […]
অনুপায়
হৃদপিণ্ডের মাঝখানটায় একটা জায়গা আছে যা পূর্ণ হয় না কখনই, হবেও না। একটা ফাঁকা জায়গা এমনকি সেইসব মুহূর্তেও যখন আকণ্ঠ ডুবে রই স্বর্গসুখে। স্বর্গ ভেদ করে যখন ঊর্ধ্বগামী হই তখনও, শূন্য। একদিন সবাই টের পাব দেখতে পাব সেই শূন্য ঘরটা সবকিছু তুচ্ছ হবে, চোখ আটকা পড়বে শূন্যতায়। হৃদপিণ্ডের মাঝখানটায় একটা জায়গা আছে যা পূর্ণ হয় […]
নৈঃশব্দ্য
চলো ডুব দেই নৈঃশব্দ্যে, চুষে নেই স্থির মুহূর্তগুলো। পৃথিবীর বুকে অন্তত একবার সবকটি ভাষার গলা টিপে ধরে চলো নীরব হই, একটু দাড়াই। দেখো, মুহূর্তটা কেমন অচেনা হয়ে উঠবে, কোন তাড়া নেই, ইঞ্জিনের শব্দ নেই, একটা আকস্মিক বিস্ময়ে একত্রিত হবো সবাই আমি, তুমি, সে। তিমিদের গায়ে আঘাত করা থামিয়ে দিবে শীতল সাগরের মাঝিরা, লবণ জমানো সেই […]
মস্তিষ্কে অনুভূত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
মরি তো প্রতিদিনই, প্রতি মুহূর্তে। আশা মরে, স্বপ্ন মরে, মরণ নিজেও মরে। সেদিনও মরেছিলাম। মস্তিষ্কে অনুভুত হয়েছিল একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। ছিল শোকার্তরা, দ্বিধান্বিত। তাদের পদধ্বনি অবিরাম মাড়িয়ে যাচ্ছিলো অনুভূতি ছেদনের আগ পর্যন্ত। যখন সবাই উপবিষ্ট একটা অনুষ্ঠান, ড্রামের মত বেজে যাচ্ছিলো মন অসাড় হওয়ার আগ পর্যন্ত। তারপর শুনতে পেলাম বাক্স উত্তোলনের কড়কড় শব্দ। সেই একই বুট জুতা […]