যখন আপনি আপনার প্রিয়তমার স্নিগ্ধ মুখের দিখে মুগ্ধ নয়নে অপলক তাকিয়ে আছেন, তখন যদি দেখতে পান যে, তার ডান গালে কিংবা কপালে কিংবা চিবুকে কিংবা গলা থেকে বুকের দিকটায় একটা কালো গর্ত দৃশ্যমান হয়ে আছে, এতে আপনার মুগ্ধ হওয়ার প্রবাহটায় একটু ছেঁদ পড়তে পারে অথবা অনেকটাই। কিন্তু আপনি তো এমন গর্ত দেখতে পান না। অথচ […]
Tag: Thoughts
দ্যা কিলার
এমপ্যাথি। মানুষের একটা ইভ্যুলুশনারি চারিত্রিক গুণ। মানুষ ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে এমপ্যাথির উপস্থিতি দেখা যায়। এটা নিজেকে অন্যের জায়গায় দাঁড় করিয়ে অন্যকে দেখার, অনুভব করার গুণ। এটা হতে পারে দুঃখে কিংবা সুখে। মানুষসহ সকল প্রাণীকুল মূলত সেলফিশ। জেনেটিক্যালি একটা প্রাণীর প্রধান প্রকৃতি হলো নিজেকে বাঁচানো। কিন্তু রিয়্যালিটি এমন যে, এখানে নিজেকে বাঁচাতে হলে অন্যের সাথে […]
টাবুলা রাসা
জগতে মানবের মধ্যে যে অসমতা দেখা যায় তা যন্ত্রণাদায়ক। মানুষের মধ্যে কেউ ধনী, কেউ গরীব, কেউ সুশ্রী, কেউ কুৎসিত, কারও বিপুল প্রতিভা, কেউ গণ্ডমূর্খ, কারও দেহবল অসুরের মত, কারও দেহ ভেঙে পড়ে ক্ষণে ক্ষণে, কেউ কথা দিয়ে যাদুকরের মত মাতিয়ে রাখতে পারে সবাইকে, কারও আবার দুচারটা কথা বলতেই পা কাঁপে, হাত কাঁপে। প্রাকৃতিক কিংবা ঐশ্বরিক […]
কোন পথে সুখ?
মানুষের সুখী হওয়ার বেশকিছু প্রতিষ্ঠিত পন্থা রয়েছে। এসবের মধ্যে কে কোন পন্থা অনুসরণ করবে সেটা নির্ভর করে তার নিজস্ব জীবনবোধের উপর। কারণ, উদ্দেশ্য এক হলেও একেক পন্থার কলাকৌশল একেক রকম। সেগুলো কী সেটা জানার আগে একজন মানুষকে প্রথমেই বোঝা উচিৎ সুখ অনুভবে মনুষ্যমনের চরিত্র কেমন। সুখ সাধারণত আসে সন্তুষ্টি থেকে। আর সন্তুষ্টি আসে আমাদের মানসিক […]
জ্ঞান অর্জনে অজ্ঞতা কমে না
জ্ঞান অর্জনের কয়েকটা স্তর রয়েছে, যদিও এসব স্তর-ফর স্রেফ মনুষ্য ব্যাপার। রিয়্যালিটিতে আসলে কোনকিছুর কোন স্তর নেই, যদি সেখানে কোন এক্সপেরিয়েন্সার না থাকে। জ্ঞান যেহেতু এখানে একটা মনুষ্য ব্যাপার আর মানুষ যেহেতু ভাষা ছাড়া কোনকিছু ঠিকঠাক ব্যাখ্যা করতে পারে না, তাই এক্সপেরিয়েন্সার হিসেবে মনুষ্য সাবজেক্টিভিটি থেকে আমরা জ্ঞানকে কয়েকটা স্তরে ভাগ করতে পারি। ভাগ করার […]
মনের ঘরে (৮)
২৬ একটা মানব শিশু জন্ম গ্রহণ করার পরে সুইটু-কিউটু, গুলুগুলু, এডোরেবল সময়টা পার কইরা সলিড খাবার খাওয়া, হাঁটা এবং কথা বলা শিখার পর একটু শক্তপোক্ত হইয়া উঠলে তার ভেতরে একটা বিলিফ সিস্টেম ঢুকাইয়া দেওয়ার পাশাপাশি কনট্রাডিক্টলি যেই জিনিসটার ইনপুট দেওয়া শুরু করা হয় সেইটা হইল লজিক। শিশু মাইন্ডরে শেখানো হয় একের সাথে এক যোগ করলে […]
মনের ঘরে (৭)
২৩ এই প্ল্যানেটে যত প্রাণী আছে (অন্যান্য গ্রহের সলিড কোন খবর আমরা এখনো জানি না) তার মধ্যে মানুষ নিজেরে শ্রেষ্ঠ মনে করার অন্যতম প্রধান কারণ হইল হিউম্যান মাইন্ড অনুভব করে কিংবা ভাইবা নেয়, যে, সে যা কিছুই করে তার প্রায় সবকিছুতেই তার নিজের চয়েস বইলা কিছু একটা আছে। অর্থাৎ তার স্বাধীন ইচ্ছা আছে। সে মনে […]
মনের ঘরে (৬)
২০ হিউম্যান মাইন্ডের যত ধরনের সাফারিং আছে সেইগুলারে সাম আপ করলে একটা মেজর পার্ট দখল কইরা রাখবে মাইন্ডের এংজাইটি এবং স্ট্রেস তথা মানসিক উদ্বেগ এবং চাপ। কালেক্টিভ লেভেলে খুব একটা জোরালো না হইলেও প্রতিটা ইনডিভিজুয়াল মাইন্ড বেশিরভাগ সময় ধরাশায়ী হইয়া থাকে এংজাইটি আর স্ট্রেসের কারণে। যে কোন কিছু করা বা না করা নিয়া মাইন্ড প্রায়ই […]
মনের ঘরে (৫)
১৬ ইনডিভিজুয়ালি প্রতিটা হিউম্যান মাইন্ড অনেকক্ষেত্রে এগ্রেসিভ এবং ভায়োলেন্ট হইলেও কালেক্টিভলি সে খুবই সাবমিসিভ তথা সহজেই বশ্য। কালেক্টিভলি হিউম্যান মাইন্ড নিজেরে সইপা দেয়ার জন্য একটা ফাদার ফিগার তৈরি করে কিংবা ফাদার নিজেই আইসা তাদের কাছে হাজির হয়। ইনডিভিজুয়াল এগ্রেশনের ক্ষেত্রে মাইন্ডের স্বভাব উল্লেখযোগ্য। মাইন্ড তার এগ্রেশন সকল সময়ে সকল জায়গায় সমানভাবে প্রকাশ করে না। মাইন্ড […]
মনের ঘরে (৪)
১২ ফোকাস এবং এটেনশন হইল হিউম্যান মাইন্ডের অসংখ্য ফ্র্যাজাইল তথা ভঙ্গুর পার্টের বিপরীতে সবচাইতে পাওয়ারফুল পার্ট। ধরণীর সকল মহৎ মহৎ সৃষ্টি এবং পরিবর্তনের আবির্ভাব হইছে মাইন্ডের ফোকাস আর এটেনশনের শক্তিতেই। কিন্তু অন্যান্য সেলফ কন্ট্রাডিকশনের মত এটা কন্ট্রাডিক্টলি (কিছু ক্ষেত্রে প্যারাডক্সিক্যালি) হিউম্যান মাইন্ডের দুর্বলতম পার্টও বটে। হিউম্যান মাইন্ডের ফোকাস এবং এটেনশনের ডিরেকশন খুব সহজেই প্রভাবিত করা […]