যে আলো বেয়ে উঠে তোমার পা থেকে চুলে

যে আলো বেয়ে উঠে তোমার পা থেকে চুলে, যে শক্তি আঁকড়ে ধরে তোমার কমনীয় অবয়ব, তাঁরা নয় কোন মুক্তোর মা, নয় কোন শীতল রৌপ্যঃ তুমি একটা রুটি, আগুনের আদুরে আঁচে তৈরি রুটি। শস্যরা বেড়ে উঠেছিল তোমার ফসলে, শুভ সময়ে ফুলে উঠেছিল ময়দারা; ঠিক যেন ময়দার তালে ফোটা গোলাপ, দ্বিগুণিত তোমার বক্ষযুগল, আর আমার ভালোবাসা ছিল […]

আমিই প্রথম ভালবেসেছি তোমায়

আমিই প্রথম ভালবেসেছি তোমায়ঃ কিন্তু তারপর তোমার প্রেম টপকে দিয়ে আমারটা, গেয়ে উঠল এমন উচ্চসুরের গান যে সুরে হারিয়ে গিয়েছিল আমার ঘুঘুর মিষ্টি কূজন। কে কার কাছে বেশী ঋণী? আমার প্রেমটা ছিল দীর্ঘ, আর তোমার এক মুহূর্তের প্রেম যেন আরও শক্তভাবে আঁকড়ে ধরেছিল আমায়; আমি ভালবেসেছি, অস্পষ্ট চোখে দেখেছি তোমায়, তুমি বিশ্লেষণ করেছো আমার ব্যাকরণ […]

কারণ আমি মৃত্যুর জন্য দাঁড়াতে পারিনি

কারণ আমি মৃত্যুর জন্য দাঁড়াতে পারিনি— সে নিজেই অনুগ্রহ করে দাঁড়িয়েছিল আমার জন্যে— ক্যারিজটা শুধু আমাদেরকেই বহন করছিল— আর সাথে অমরত্ব। আমরা ধীরে এগুতে লাগলাম — তাঁর কোন তাড়া ছিলনা এবং আমি ছেড়ে দিলাম আমার সকল শ্রম, ব্যস্ততা আর অবসরটুকুও, তাঁর সৌজন্যে। আমরা স্কুলটা অতিক্রম করলাম, যেখানে শিশুরা খেলছিল — বলয়টাতে — আমরা অতিক্রম করলাম […]

ব্যাকুল আমি, চাই তোমার মুখ, তোমার কণ্ঠ, তোমার চুল

ব্যাকুল আমি, চাই তোমার মুখ, তোমার কণ্ঠ, তোমার চুল। নির্বাক, তীব্র ক্ষুধায় কাতর আমি, খাদ্যান্বেষণে ঘুরে ফিরি পথে পথে। রুটিতে আমি তুষ্ট হই না, ভোর আমাকে ব্যহত করে, সারাটি দিন আমি খুঁজে বেড়াই তোমার পায়ের তরল পদধ্বনি। আমি ক্ষুধার্ত তোমার মুখের নরম হাসির জন্যে, তোমার হাতের ঐ বুনো ফসলের রঙটার জন্যে, তোমার নখের বিবর্ণ পাথর […]

আমি তোমার হৃদপিণ্ড সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়াই

আমি তোমার হৃদপিণ্ড সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়াই (তোমার হৃদপিণ্ড আমারটার ভিতরেই থাকে) এটা ছাড়া আমি এক মুহূর্তও থাকতে পারি না (যেখানেই আমি যাই, তুমিও যাও, প্রিয়া; আমি যা করি; সেটা যেন তুমিও কর) আমি ভঁয় পাই না অদৃষ্টকে (কারণ তুমিই আমার অদৃষ্ট, প্রিয়তমা) দুনিয়ার কিছুই আমি চাইনা (কারণ তোমার সৌন্দর্যেই অস্তিত্বমান আমার পুরো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড) […]

তবুও আমি জেগে উঠি

তুমি হয়তো ইতিহাস লিখবে আমাকে নিয়ে তোমার তিক্ত, মুখরোচক মিথ্যাক্ষরে। হয়তো তুমি আমায় পুতে ফেলবে মাটির খুব, খুব গভীরে। তবুও আমি জেগে উঠবো, ধুলোর মতই। আমার এই রুক্ষতায় কি তুমি মর্মাহত? কেন তুমি বিষাদে ডুবে যাচ্ছ? কারন আমি আত্মবিশ্বাসে হেঁটে বেড়াই যেন মূল্যবান তৈল খনি পেয়েছি আমার নিজের ঘরেই! আমি জেগে উঠবো সূর্যের মত, চন্দ্রের […]

ভালোবাসার পর ভালোবাসা

সময় আসবে যখন বিশুদ্ধ আনন্দে উচ্ছসিত তুমি নিজেকে আলিঙ্গন করবে নিজের দরজায়, নিজের আয়নায়, এবং তুমি আর ‘তুমি’ দুজনের ঠোঁটের কোণেই ফুটে উঠবে হাসি, আলিঙ্গনে। এবং যা বলার আছে বলো, বস এখানে, খেয়ে নাও। তুমি আবারো ভালবাসবে সেই আগন্তুককে, আগন্তুক তোমারই ছদ্মবেশ। পানাহার করাও। সর্বোপরি হৃদয়টা তাকে ফেরত দাও যাকে ভালবেসে এসেছ শুরু থেকে, অবহেলাও […]

ভালোবাসার দর্শন

ঝর্ণারা মিশে যায় নদীতে, আর নদীরা সমুদ্রে, স্বর্গ থেকে বয়ে চলা হাওয়া চিরতরে মিশে যায় মিষ্টি আবেগে; এ ধরায় কোন কিছুই একা নয়, ঐশ্বরিক নিয়মে সবকিছুই মিলে যায়, মিশে যায় এক আত্মায়। তবে কেন আমি মিশবো না তোমাতে? — দেখো, পর্বত গুলো চুমু খায় সুউচ্চ স্বর্গকে, আর ঢেউয়েরা আঁকড়ে ধরে একে অপরকে, কোন পুষ্প-ভগিনীই কখনও […]

দিনটা চলে গেছে, এবং চলে গেছে তাঁর মিষ্টতাও!

দিনটা চলে গেছে, এবং চলে গেছে তাঁর মিষ্টতাও! মিষ্টি কণ্ঠ, মিষ্টি ঠোঁট, নরম হাত এবং আরও নরম বক্ষদেশ, উষ্ণ নিঃশ্বাস, মৃদু ফিসফিসানি, কচি আধো-স্বর, উজ্জ্বল চক্ষুদ্বয়, মার্জিত দেহ, এবং অবসন্ন কোমর! ফুলটা মলিন হয়ে গেছে, নিঃশেষ হয়ে গেছে তাঁর সবটুকু ফুটন্ত প্রাণ, মুছে গেছে সৌন্দর্যের দৃষ্টি আমার চক্ষু থেকে, মুছে গেছে সৌন্দর্যের আকৃতি আমার বাহু […]

ভালোবাসার ভালোবাসা

ভালোবাসার আর কোন আকাঙ্ক্ষা নেই শুধু নিজেকে পূর্ণ করা ছাড়া তবুও যদি তোমার ভালোবাসা হয় অভিলাষী, তাঁকে অভিলাষীই হতে দাওঃ সে দ্রবীভূত হয়ে বয়ে চলুক স্রোতস্বিনী ছোট নদীর মত যার স্রোত মিষ্টি সুরে সঙ্গীত শোনায় রাত্রির নীরবতাকে। তাঁকে বুঝতে দাও অতি ভঙ্গুরতার কি ব্যাথা! তাঁকে আহত কর তোমার ভালোবাসার বোধশক্তির আঁচরে; সে রক্তাক্ত হোক নিজের […]