কিলার স্যুপ

জগতের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চাইনিজ মিথোলজিতে বলা হয়, জগত এক বস্তুগত শক্তির প্রাথমিক ক্যাওস থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে সৃষ্টি পরবর্তী জগত নিজেই নিজেকে একটা সাইকেলের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে ফেলেছে। এক্ষেত্রে জগতের সকল শক্তি মূলত দুইটা রূপ ধারণ করে আছেঃ বস্তু আর প্রাণ। চাইনিজ দর্শনে জগত শৃঙ্খলের সাইকেলটাকে বলা হয়, ইন এবং ইয়াং। ইন এবং ইয়াং হল […]

প্রাণের নাশ এবং সাইক্লিক্যাল রিয়্যালিটি

ভিয়েতনামিজ আধ্যাত্মিক গুরু থিচ নাট হানের মা মারা যাওয়ার পর প্রায় বছর দেড়েক তিনি গভীর শোকে আচ্ছন্ন ছিলেন। মায়ের মৃত্যুর মত এমন ব্যথা তিনি তার জীবনে আর কোনকিছুতেই পান নি। মা ছিল, এখন আর নেই, এই বিষয়টা তার মন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলো না। একটা মানুষ ‘ছিল’ থেকে কীভাবে ‘নাই’ হয়ে যেতে পারে এটা তিনি […]

রিয়্যালিটি কোনদিকে বহে?

অতীতে মানুষ কেমন ছিল? তুলনামূলক সুখী? নাকি দুঃখী? অতীত বলতে কত দূরের অতীত? দশ বছর আগের? নাকি দশ হাজার বছর আগের? অতীতকে নিয়ে ব্রিটিশ উপন্যাসিক এল. পি. হার্টলি বলেছিলেন, অতীত একটা ভিনদেশঃ ঐ দেশের মানুষদের কাজকর্ম ছিল ভিন্ন। অর্থাৎ, আমরা এখন যা যেভাবে করি, আমাদের পূর্বপুরুষেরা কিংবা নারীরা তা সেভাবে করতো না। হার্টলির এই কথার […]

জীবনের মূল সাধনা কোনটা?

মনুষ্য ইগো বহির্জগতের সবকিছুকে জয় করার যে প্রবণতা ধারণ করে সেটা শানিত হয়ে উচ্চমার্গে গিয়ে পৌঁছায় তখন, যখন সে নিজের প্রবৃত্তিকে জয় করতে আগ্রহী হয়ে উঠে। এটা যেহেতু অন্তর্জগতের কাজ, তাই কাজটা বেশ কঠিন। এই কাজে নামার কথা ভাবতেও দরকার পড়ে এক ধরণের পরিপক্বতার। এর জন্যে মানুষ আধ্যাত্মিক সাধনায় নিমগ্ন হয়। সাধনা কী? বহির্জগতের কোনকিছুকে […]

সাইকোলজিক্যাল ব্লাইন্ড স্পট

যখন আপনি আপনার প্রিয়তমার স্নিগ্ধ মুখের দিখে মুগ্ধ নয়নে অপলক তাকিয়ে আছেন, তখন যদি দেখতে পান যে, তার ডান গালে কিংবা কপালে কিংবা চিবুকে কিংবা গলা থেকে বুকের দিকটায় একটা কালো গর্ত দৃশ্যমান হয়ে আছে, এতে আপনার মুগ্ধ হওয়ার প্রবাহটায় একটু ছেঁদ পড়তে পারে অথবা অনেকটাই। কিন্তু আপনি তো এমন গর্ত দেখতে পান না। অথচ […]

দ্যা কিলার

এমপ্যাথি। মানুষের একটা ইভ্যুলুশনারি চারিত্রিক গুণ। মানুষ ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে এমপ্যাথির উপস্থিতি দেখা যায়। এটা নিজেকে অন্যের জায়গায় দাঁড় করিয়ে অন্যকে দেখার, অনুভব করার গুণ। এটা হতে পারে দুঃখে কিংবা সুখে। মানুষসহ সকল প্রাণীকুল মূলত সেলফিশ। জেনেটিক্যালি একটা প্রাণীর প্রধান প্রকৃতি হলো নিজেকে বাঁচানো। কিন্তু রিয়্যালিটি এমন যে, এখানে নিজেকে বাঁচাতে হলে অন্যের সাথে […]

সাইকোলজিক্যাল ইমিউন

মাছের মধ্যে বেশ কিছু প্রজাতি আছে যেগুলোর শারীরিক গ্রোথ সারাজীবন ধরে চলতে থাকে। অর্থাৎ, একটা পূর্ণাঙ্গ জীবন পেলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এরা গায়ে-গতরে বাড়ে। যেমন, নাইল পার্চ নামে আফ্রিকান একটা মাছ আছে, পূর্ণ জীবন পেলে যেটার দৈর্ঘ্য প্রায় সাত ফুটের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ায়। এসব মাছের শারীরিক গ্রোথ অল্প বয়সে অনেক দ্রুত ঘটলেও শেষের দিকে গিয়ে […]

এক্সিস্টেনশিয়াল এবসারডিটি

জীবন ও জগৎকে বোঝার ক্ষেত্রে মানুষ সাধারণত অথবা বেশীরভাগ সময় মানুষকেই প্রধান সাবজেক্ট হিসেবে ধরে সামনে এগোয়। এটা হয়তো মানুষের এন্ত্রোপোসেন্ট্রিক তথা মানবকেন্দ্রিক চিন্তা করার ন্যাচারাল ধর্মীয় স্বভাব থেকেই আসে। এমনকি দার্শনিক ও সাইন্টিফিক এক্সপ্লোরেশনেও মানুষ খুব বেশি মানবকেন্দ্রিক চিন্তার বাইরে গিয়ে জিনিসপত্রকে বোঝার চেষ্টা করতে পারে না। এটা হয়তো সম্ভবও নয়। কারণ, মস্তিষ্কের সাবজেক্টিভিটি […]

স্বাধীনতায় আধুনিক মানুষের যন্ত্রণা

আধুনিক মানুষকে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্ত করে রেখেছে যে আইডিয়া সেটা হল ‘ফ্রিডম’ তথা স্বাধীনতা তথা মুক্তি। এর মধ্যে ফ্রিডম নিয়ে বেশি বিভ্রান্তিতে ভুগছে নারীবাদ। প্রাক-আধুনিক যুগে কোন ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ছিল না। ব্যক্তিকে তখন ব্যক্তি হিসেবেই দেখা হতো না। ফ্রিডম ব্যাপারটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়ালো বিংশ শতাব্দীতে এসে। ব্যক্তি স্বাধীনতার পরে নারীবাদ তথা নারী স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ […]

রিয়্যালিটির র‍্যানডমনেস

মানুষ প্রতিনিয়ত রিয়্যালিটির র‍্যানডমনেসের ভয়ংকর ঝুঁকিতে বেঁচে থাকে। নেতিবাচক ঘটনার ঝুঁকি। দৈনন্দিন চয়েস আর সিদ্ধান্তে মানুষ নিজের অজান্তেই জুয়াড়ির ভূমিকা পালন করে। দৃশ্যমান বড় আকারের একটা ঘটনাকে টানলে, যেমন, প্রতিদিন র‍্যানডমলি সড়ক দুর্ঘটনায় বিভিন্ন সংখ্যায় মানুষ মারা যায়। এই তথ্য জেনেও কেউ কোনদিন গাড়ি চড়া বন্ধ করে না। কারণ, সবাই মনে মনে ধরে নেয় যে, […]