দ্যা স্যান্ডম্যান

গ্রিক মিথোলোজির গড সোমনাসের ছেলে মরফিয়াস ছিলেন ঘুম এবং স্বপ্নের দেবতা। এই ঘুম এবং স্বপ্ন অবশ্য মানুষের। অর্থাৎ মানুষ ঘুমালে যে স্বপ্ন এবং দুঃস্বপ্নের জগতে প্রবেশ করে সেটা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বে ছিলেন মরফিয়াস। মানুষ জেগে থাকা অবস্থায় যে জগতে ঘুরেফিরে বেড়ায়, সেটাকেই আমরা বাস্তব জগত অথবা একমাত্র জগত হিসেবে বিবেচনায় আনি। কিন্তু আমরা এও জানি […]

বিয়িং দেয়ার

অস্তিত্বে কোন সংবেদনশীল সত্তা যখন তার নৈর্ব্যক্তিক শারীরিক যন্ত্রণা আর সুখানুভূতিকে টপকিয়ে মানসিক পীড়া, যন্ত্রণা, সুখ আর আনন্দের এক নিজস্ব জগত তৈরিতে সক্ষম হয়, তখন সে সত্তা তার অনুভূত সবকটা অনুভূতির উৎসের সন্ধানে জীবদ্দশার কোন না কোন এক সময় নেমে পড়তে বাধ্য হয়। এর কারণ এইসব অনুভূতির বিলম্বিত কিংবা আকস্মিক উঠানামার পশ্চাত্পটে যা জীবনভর লেগে […]

ভিভারিয়াম

গ্রিক মিথোলজির সিসিফাস দুইবার মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়েছিলেন। এর জন্য তাকে এক কঠিন শাস্তি পেতে হয়েছিল। একটা বিশালাকৃতির পাথরের গোল্লা কাঁধে নিয়ে তাকে পাহাড়ের চুড়ায় উঠতে হত, পাথরটা সেখান থেকে গড়িয়ে পড়ে গেলে আবার সেটাকে কাঁধে নিয়ে পাহাড়ের চুড়ায় উঠতে হত। এবং এটা চলবে অনন্তকাল ধরে। এটাই সিসিফাসের শাস্তি। এখনও সিসিফাস পাথর কাঁধে নিয়ে পাহাড়ের চুড়ায় […]

শিপ অফ থেসিয়াস

গ্রিক মিথোলজির রাজা থেসিয়াস বিখ্যাত হয়েছিলেন মিনোয়ার ক্রিটের পৌরাণিক জন্তু মিনোয়াতোরকে হত্যা করে। মিনোয়াতোর ছিলেন অর্ধেক মানুষ আর অর্ধেক ষাঁড়াকৃতির এক প্রাণী। থেসিয়াস মিনোয়ার থেকে মিশন শেষে যে জাহাজে করে এথেন্সে ফিরেছিলেন সেই বিখ্যাত জাহাজকে বলা হয় ‘শিপ অফ থেসিয়াস’। মিশন পরবর্তী সময়ে জাহাজখানাকে গ্রিসের একটা বন্দরে মেমোরিয়াল হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিলো। সংরক্ষণের পর […]

লুসিয়া

চাইনিজ দার্শনিক চুয়াং জু একবার স্বপ্নে দেখলেন যে তিনি একটা প্রজাপতি হয়ে মনের আনন্দে ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছেন। স্বপ্নের মধ্যে প্রজাপতিটা জানতো না যে এটা আসলে চুয়াং জু স্বপ্ন দেখছেন যে উনি একটা প্রজাপতি। কিছুক্ষণ পর তার ঘুম ভেঙে গেল। জেগে উঠে তিনি দ্বিধান্বিত হয়ে গেলেন এই ভেবে যে ‘আমি চুয়াং জু স্বপ্ন দেখলাম যে […]

মিডসোমার

মনুষ্যমনের আদিম এক কল্পনা হল স্বর্গ। একটা চির আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। তবে এটা কোন জায়গা না হয়ে কেবল একটা মানসিক অবস্থান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু মানুষের মন এ ব্যাপারে নিজের ক্রেডিট নিতে খুব একটা রাজি না, যেখানে তার নিজের সাথে নিজের পরিচয় খুবই ক্ষীণ। তাই গড়পড়তায় মানুষ স্বর্গকে একটা জায়গা হিসেবেই দেখে। এমন একটা জায়গা যেখানে […]

মুভি টোকিও! (২০০৮) – গভীর সিনেমাটিক ধাঁধা

কেমন হইব যদি একদিন সকাল বেলা হঠাৎ আবিস্কার করেন যে আপনার বুকের মধ্যে একটা বিশাল ছিদ্র এবং খেয়াল কইরা দেইখা টের পাইলেন যে সকালের মিষ্টি রোদটা আপনার পিঠের মধ্য দিয়া ঢুইকা আপনার বুকের মধ্য দিয়া বাহির হইয়া ফ্লোরে গড়াগড়ি খাইতেছে? অর্থাৎ দেখলেন যে আপনার বুকের এপাশ-ওপাশ ছিদ্র হইয়া আছে। এবং আরও দেখলেন যে ছিদ্রের মাঝখানে […]

মুভি দ্যা কিউরিয়াস কেইস অব বেঞ্জামিন বাটন (২০০৮)— একটা কিউরিয়াস মাস্টারপিস

আপনার কি মনে হয় যে জীবন সুন্দর? জীবন চমৎকার? মাঝে মধ্যে হয়তো মনে হয়। কিন্তু বেশীরভাগ সময়ই আপনার কাছে  জীবনের সবকিছুই নিজের প্রতিকূলে আছে বইলা মনে হয়। এই মনে হওয়ার পরেও জীবনের প্রতি আপনার একটা এডিকশন আছে, যা আপনারে বাঁচাইয়া রাখছে। জীবনের বেশীরভাগটাই দুঃখ কষ্টে ভরপুর থাকলেও জীবনের প্রতি নেশাটার কারণে আপনার খালি বাইচা থাকতে […]

মুভি ওয়েকিং লাইফ (২০০১)—একটা ফিলসফিকাল থেরাপি

যেহেতু আপনি এই রিভিও পড়া শুরু করছেন তাই বলা যায় যে আপনি একজন দার্শনিক। তবে যারা এই রিভিও পড়া শুরু করে নাই অথবা ভবিষ্যতে পড়ারও কোন সম্ভাবনা নাই তাঁরাও দার্শনিক। তাইলে আপনার আর তাঁদের মধ্যে পার্থক্য কি রইল? পার্থক্য এইডাই, আপনি পড়ছেন আর তাঁরা পড়ে নাই! অন্য কোন পার্থক্য তৈরি হইতেও পারে আবার নাও পারে। […]