মনের ঘরে (৫)

১৬ ইনডিভিজুয়ালি প্রতিটা হিউম্যান মাইন্ড অনেকক্ষেত্রে এগ্রেসিভ এবং ভায়োলেন্ট হইলেও কালেক্টিভলি সে খুবই সাবমিসিভ তথা সহজেই বশ্য। কালেক্টিভলি হিউম্যান মাইন্ড নিজেরে সইপা দেয়ার জন্য একটা ফাদার ফিগার তৈরি করে কিংবা ফাদার নিজেই আইসা তাদের কাছে হাজির হয়। ইনডিভিজুয়াল এগ্রেশনের ক্ষেত্রে মাইন্ডের স্বভাব উল্লেখযোগ্য। মাইন্ড তার এগ্রেশন সকল সময়ে সকল জায়গায় সমানভাবে প্রকাশ করে না। মাইন্ড […]

মনের ঘরে (৪)

১২ ফোকাস এবং এটেনশন হইল হিউম্যান মাইন্ডের অসংখ্য ফ্র্যাজাইল তথা ভঙ্গুর পার্টের বিপরীতে সবচাইতে পাওয়ারফুল পার্ট। ধরণীর সকল মহৎ মহৎ সৃষ্টি এবং পরিবর্তনের আবির্ভাব হইছে মাইন্ডের ফোকাস আর এটেনশনের শক্তিতেই। কিন্তু অন্যান্য সেলফ কন্ট্রাডিকশনের মত এটা কন্ট্রাডিক্টলি (কিছু ক্ষেত্রে প্যারাডক্সিক্যালি) হিউম্যান মাইন্ডের দুর্বলতম পার্টও বটে। হিউম্যান মাইন্ডের ফোকাস এবং এটেনশনের ডিরেকশন খুব সহজেই প্রভাবিত করা […]

মনের ঘরে (৩)

 ৮ হিউম্যান মাইন্ডের সবচাইতে ভালনারেবল তথা ভঙ্গুর পার্ট হইল এইটাকে সহজেই ম্যানিপুলেট করা যায়। ম্যানিপুলেশন দুই ভাবে ঘটেঃ মাইন্ড নিজেই নিজেকে ম্যানিপুলেট করতে পারে (এইক্ষেত্রে মাইন্ড স্প্লিট হয়ে দুই বা ততোধিক ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে) এবং এক মাইন্ড অন্য মাইন্ডকে ম্যানিপুলেট করতে পারে। সাধারণত চাকরি-বাকরি, পরিবার, বন্ধু মহল এবং প্রেমিক-প্রেমিকাদের ক্ষেত্রে এক ইনডিভিজুয়াল আরেক […]

মনের ঘরে (২)

৪ সেলফ কন্ট্রাডিকশন ছাড়া হিউম্যান মাইন্ডের সবচাইতে বড় যে পিকুলিয়ার দিক আছে সেইটা হইল ডিনায়াল। খুবই নগণ্য একটা সংখ্যা বাদে বেশিরভাগ মানুষ বাঁচে ডিনায়ালে। ডিনায়াল হইল চোখের সামনে দেখা ফ্যাক্টরে অস্বীকার করা, অন্যের কাছে এবং নিজের কাছে। মানুষ অন্যের কাছে যতটুকু না ডিনায়াল শো করে তার থেকে বেশি করে নিজের কাছে। অলমোস্ট নিরানব্বই ভাগ ‘সত্য’ […]

মনের ঘরে (১)

১ হিউম্যান ষ্টুপিডিটির মোহময় এক ক্ষমতা আছে এবং এইটা আনলিমিটেড। এই ক্ষমতার বলেই দাঁড়াইয়া আছে মানব সৃষ্ট সকল সিস্টেম, সকল গল্প। এই ষ্টুপিডিটিই ঠেক দেয় মানুষের এক্সিসটেনশিয়াল ক্রাইসিস, সৃষ্টি করে মনুষ্য জীবনের পারপাস। একটা গল্প ইনভ্যালিড হইয়া গেলে জন্ম নেয় নয়া গল্প, একটা সিস্টেম কলাপ্স করলে জন্ম নেয় আরেকটা নয়া সিস্টেম। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হইল এই […]

জীবনের সব ভালো জিনিস কেন পশ্চাৎমুখী

অনেকগুলো চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে মনুষ্য জীবনের প্রধান চাওয়া-পাওয়া হল—শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং সুখ। এগুলো সবাই চায়। একেকজন একেক ফর্মে। আপনিও চান। এই চাওয়ায় দোষ নাই। কিন্তু প্যারাডক্সিক্যালি এগুলো পেতে গিয়ে আপনি যদি মাত্রাতিরিক্ত চেষ্টায় রত হয়ে যান তাহলে পরিণতিতে আপনি হবেন—নিঃসঙ্গ, বিষণ্ণ এবং দুর্দশাগ্রস্ত।   নৌবাহিনীর ‘নেভি সিল’ ট্রেনিং-এ ‘ড্রাউন প্রুফিং’ নামে একটি অংশ আছে, যেখানে আপনার […]

অর্ক

১৯৬৮ সাল। একটা জমাট বাঁধা উত্তেজনা আনন্দে রূপ নিয়ে ছাগল শাবকের মত লাফিয়ে বেড়াচ্ছে সাত বছর বয়সী অর্কের মনে। কারণ এই মাত্রই অর্ক বেশ কিছুদিন ধরে চেষ্টা করে যাওয়া একটা যন্ত্র বানানোর কাজ সফলভাবে শেষ করতে সক্ষম হয়েছে। যন্ত্রটা দিয়ে এখন সে দূর থেকেই তার কুকুরের ঘরের দরজাটা খুলতে এবং বন্ধ করতে পারবে। ব্যাপারটা আনন্দেরই। […]

আমাদের সিজোফ্রেনিক ব্যক্তিত্ব, ডুয়ালিটি, আর নো-সেলফ

মানুষ যে স্বাধীন প্রাণী সেইটার একটা প্রমান হইল সে নিজেরে নিজে মাইরা ফেলতে পারে। অর্থাৎ মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে। তবে মানুষের ‘ফ্রি উইল’ তথা স্বাধীন ইচ্ছার যে কয়টা থিওরি আছে সেইগুলা বিশ্লেষণ করা শুরু করলে হয়তো আমার এইখানে বলা ‘প্রমাণ’ কথাটা টিকবে না। সেইদিকে এখন না যাই। অন্য যে কোন কাজের পেছনে হাজার হাজার ভেরিয়েবল […]

জন্ম

দুঃখের গর্ভে আমি জন্ম দেই সুখ নামক প্রাণোচ্ছল এক শিশুকে। বেড়ে উঠতে উঠতে, চালাক হতে হতে সে ভুলে যায় নিজের উচ্ছাসের কথা। ভুলে যায় তাঁর পিতার কথা, উৎসের কথা। বিস্মৃতিতে ডুবে যাওয়া জীবন তাকে বিষময় করে তোলে স্মৃতি দিয়েই। রাত্রির গর্ভে আমি জন্ম দেই দিবস নামক এক উজ্জ্বল শিশুকে। বুড়ো হতে হতে, বিকেল গড়াতে গড়াতে […]

অ-ঈশ্বর

একশো সতেরটা জনম পার করার পর আমি আটকা পড়েছি আঠারোতে, সেও অর্ধ শতাব্দী আগের কথা। পুনর্জন্মের তৃষ্ণায় আমার আত্মা ফেটে এখন চৌচির। থমকে গেছে জন্মান্তরের উড়ন্ত পাল। নিস্তব্দ। সময়ের জরায়ুতে এখন আর উর্বরতা নেই। সূর্যটাও স্থির। চারিদিকে বিস্তীর্ণ আলোর জাল। আছে আত্মা জ্বালা করা তাপ। তবে আলোর ফোটনগুলো সব আমার মতই তৃষ্ণার্ত। ঢেউ নেই, ঢেউ […]