প্রাণের নাশ এবং সাইক্লিক্যাল রিয়্যালিটি

ভিয়েতনামিজ আধ্যাত্মিক গুরু থিচ নাট হানের মা মারা যাওয়ার পর প্রায় বছর দেড়েক তিনি গভীর শোকে আচ্ছন্ন ছিলেন। মায়ের মৃত্যুর মত এমন ব্যথা তিনি তার জীবনে আর কোনকিছুতেই পান নি। মা ছিল, এখন আর নেই, এই বিষয়টা তার মন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলো না। একটা মানুষ ‘ছিল’ থেকে কীভাবে ‘নাই’ হয়ে যেতে পারে এটা তিনি […]

রিয়্যালিটি কোনদিকে বহে?

অতীতে মানুষ কেমন ছিল? তুলনামূলক সুখী? নাকি দুঃখী? অতীত বলতে কত দূরের অতীত? দশ বছর আগের? নাকি দশ হাজার বছর আগের? অতীতকে নিয়ে ব্রিটিশ উপন্যাসিক এল. পি. হার্টলি বলেছিলেন, অতীত একটা ভিনদেশঃ ঐ দেশের মানুষদের কাজকর্ম ছিল ভিন্ন। অর্থাৎ, আমরা এখন যা যেভাবে করি, আমাদের পূর্বপুরুষেরা কিংবা নারীরা তা সেভাবে করতো না। হার্টলির এই কথার […]

এক্সিস্টেনশিয়াল এবসারডিটি

জীবন ও জগৎকে বোঝার ক্ষেত্রে মানুষ সাধারণত অথবা বেশীরভাগ সময় মানুষকেই প্রধান সাবজেক্ট হিসেবে ধরে সামনে এগোয়। এটা হয়তো মানুষের এন্ত্রোপোসেন্ট্রিক তথা মানবকেন্দ্রিক চিন্তা করার ন্যাচারাল ধর্মীয় স্বভাব থেকেই আসে। এমনকি দার্শনিক ও সাইন্টিফিক এক্সপ্লোরেশনেও মানুষ খুব বেশি মানবকেন্দ্রিক চিন্তার বাইরে গিয়ে জিনিসপত্রকে বোঝার চেষ্টা করতে পারে না। এটা হয়তো সম্ভবও নয়। কারণ, মস্তিষ্কের সাবজেক্টিভিটি […]

মানুষও এনিমেল

মানুষ আর অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে ব্যাসিক শারীরিক ম্যাকানিজমে তেমন কোন পার্থক্য নেই। শিম্পাঞ্জী আর মানুষের মধ্যে জিনগত পার্থক্য মাত্র ১%। তবুও মানুষ অন্য যে-কোন প্রাণীদের থেকে পাওয়ারফুল। মানুষের সফিসটিকেশন অন্য পর্যায়ের। এটা থেকে মানুষের মধ্যে একটা গ্র্যান্ড ধারণার জন্ম নিয়েছে যে, মানুষই শ্রেষ্ঠ। এটাকে বলা হয় এন্থ্রোপোসেন্ট্রিক চিন্তা। অন্য প্রাণীদের সাথে এত মিল থাকার পরও […]

দ্যা স্যান্ডম্যান

গ্রিক মিথোলোজির গড সোমনাসের ছেলে মরফিয়াস ছিলেন ঘুম এবং স্বপ্নের দেবতা। এই ঘুম এবং স্বপ্ন অবশ্য মানুষের। অর্থাৎ মানুষ ঘুমালে যে স্বপ্ন এবং দুঃস্বপ্নের জগতে প্রবেশ করে সেটা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বে ছিলেন মরফিয়াস। মানুষ জেগে থাকা অবস্থায় যে জগতে ঘুরেফিরে বেড়ায়, সেটাকেই আমরা বাস্তব জগত অথবা একমাত্র জগত হিসেবে বিবেচনায় আনি। কিন্তু আমরা এও জানি […]

শিপ অফ থেসিয়াস

গ্রিক মিথোলজির রাজা থেসিয়াস বিখ্যাত হয়েছিলেন মিনোয়ার ক্রিটের পৌরাণিক জন্তু মিনোয়াতোরকে হত্যা করে। মিনোয়াতোর ছিলেন অর্ধেক মানুষ আর অর্ধেক ষাঁড়াকৃতির এক প্রাণী। থেসিয়াস মিনোয়ার থেকে মিশন শেষে যে জাহাজে করে এথেন্সে ফিরেছিলেন সেই বিখ্যাত জাহাজকে বলা হয় ‘শিপ অফ থেসিয়াস’। মিশন পরবর্তী সময়ে জাহাজখানাকে গ্রিসের একটা বন্দরে মেমোরিয়াল হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিলো। সংরক্ষণের পর […]

লুসিয়া

চাইনিজ দার্শনিক চুয়াং জু একবার স্বপ্নে দেখলেন যে তিনি একটা প্রজাপতি হয়ে মনের আনন্দে ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছেন। স্বপ্নের মধ্যে প্রজাপতিটা জানতো না যে এটা আসলে চুয়াং জু স্বপ্ন দেখছেন যে উনি একটা প্রজাপতি। কিছুক্ষণ পর তার ঘুম ভেঙে গেল। জেগে উঠে তিনি দ্বিধান্বিত হয়ে গেলেন এই ভেবে যে ‘আমি চুয়াং জু স্বপ্ন দেখলাম যে […]

মিডসোমার

মনুষ্যমনের আদিম এক কল্পনা হল স্বর্গ। একটা চির আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। তবে এটা কোন জায়গা না হয়ে কেবল একটা মানসিক অবস্থান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু মানুষের মন এ ব্যাপারে নিজের ক্রেডিট নিতে খুব একটা রাজি না, যেখানে তার নিজের সাথে নিজের পরিচয় খুবই ক্ষীণ। তাই গড়পড়তায় মানুষ স্বর্গকে একটা জায়গা হিসেবেই দেখে। এমন একটা জায়গা যেখানে […]

মনের ঘরে (৭)

২৩ এই প্ল্যানেটে যত প্রাণী আছে (অন্যান্য গ্রহের সলিড কোন খবর আমরা এখনো জানি না) তার মধ্যে মানুষ নিজেরে শ্রেষ্ঠ মনে করার অন্যতম প্রধান কারণ হইল হিউম্যান মাইন্ড অনুভব করে কিংবা ভাইবা নেয়, যে, সে যা কিছুই করে তার প্রায় সবকিছুতেই তার নিজের চয়েস বইলা কিছু একটা আছে। অর্থাৎ তার স্বাধীন ইচ্ছা আছে। সে মনে […]

মনের ঘরে (৬)

২০ হিউম্যান মাইন্ডের যত ধরনের সাফারিং আছে সেইগুলারে সাম আপ করলে একটা মেজর পার্ট দখল কইরা রাখবে মাইন্ডের এংজাইটি এবং স্ট্রেস তথা মানসিক উদ্বেগ এবং চাপ। কালেক্টিভ লেভেলে খুব একটা জোরালো না হইলেও প্রতিটা ইনডিভিজুয়াল মাইন্ড বেশিরভাগ সময় ধরাশায়ী হইয়া থাকে এংজাইটি আর স্ট্রেসের কারণে। যে কোন কিছু করা বা না করা নিয়া মাইন্ড প্রায়ই […]