শইল্যে আর সয় না মনে কি সয়? আত্মায়? শেফালির মা’র দেহ গ্লানি, মনোগ্লানি— কত ভার সংসারের? দার্শনিকের এত গ্লানি, যন্ত্রণায়— কত ভার চেতনের? সিনেটরের দীর্ঘ মুখ ঝুলে পড়ে অনিচ্ছায়— কত ভার গাম্ভীর্যের? আঁখিজলে ধর্মযাজক কপোল ভাসে অনুশোচনায়— কত ভার আদিপাপের? তবুও সয় সয় লো—এই জগতের ভার। একটু যে সুখ, একটা যে নেশা জীবনের।
দুঃখাক্ষেপ
‘মাগো, তোর-ই গর্ভে আমায় কেন করেছিলি ধারন, আমি পাই না তো খুঁজে হায় এই বেঁচে থাকার কারণ…’ গানের দুটো লাইন। মারুফের মাথায় গুনগুন করে বাজে। অনেক সুখে কিংবা অনেক দুঃখে কিংবা সম্পূর্ণ বোধহীনতায়। মাঝে মাঝে রাতটা যখন কৈশোর থেকে যৌবনে মোড় নেয়ার প্রস্তুতি নেয় তখন কিংবা দিনটা যখন মরার জন্য ঠোঁটে শুকনো হাসি নিয়ে গোধূলির […]
মনের ঘরে (৮)
২৬ একটা মানব শিশু জন্ম গ্রহণ করার পরে সুইটু-কিউটু, গুলুগুলু, এডোরেবল সময়টা পার কইরা সলিড খাবার খাওয়া, হাঁটা এবং কথা বলা শিখার পর একটু শক্তপোক্ত হইয়া উঠলে তার ভেতরে একটা বিলিফ সিস্টেম ঢুকাইয়া দেওয়ার পাশাপাশি কনট্রাডিক্টলি যেই জিনিসটার ইনপুট দেওয়া শুরু করা হয় সেইটা হইল লজিক। শিশু মাইন্ডরে শেখানো হয় একের সাথে এক যোগ করলে […]
মনের ঘরে (৭)
২৩ এই প্ল্যানেটে যত প্রাণী আছে (অন্যান্য গ্রহের সলিড কোন খবর আমরা এখনো জানি না) তার মধ্যে মানুষ নিজেরে শ্রেষ্ঠ মনে করার অন্যতম প্রধান কারণ হইল হিউম্যান মাইন্ড অনুভব করে কিংবা ভাইবা নেয়, যে, সে যা কিছুই করে তার প্রায় সবকিছুতেই তার নিজের চয়েস বইলা কিছু একটা আছে। অর্থাৎ তার স্বাধীন ইচ্ছা আছে। সে মনে […]
মনের ঘরে (৬)
২০ হিউম্যান মাইন্ডের যত ধরনের সাফারিং আছে সেইগুলারে সাম আপ করলে একটা মেজর পার্ট দখল কইরা রাখবে মাইন্ডের এংজাইটি এবং স্ট্রেস তথা মানসিক উদ্বেগ এবং চাপ। কালেক্টিভ লেভেলে খুব একটা জোরালো না হইলেও প্রতিটা ইনডিভিজুয়াল মাইন্ড বেশিরভাগ সময় ধরাশায়ী হইয়া থাকে এংজাইটি আর স্ট্রেসের কারণে। যে কোন কিছু করা বা না করা নিয়া মাইন্ড প্রায়ই […]
মনের ঘরে (৫)
১৬ ইনডিভিজুয়ালি প্রতিটা হিউম্যান মাইন্ড অনেকক্ষেত্রে এগ্রেসিভ এবং ভায়োলেন্ট হইলেও কালেক্টিভলি সে খুবই সাবমিসিভ তথা সহজেই বশ্য। কালেক্টিভলি হিউম্যান মাইন্ড নিজেরে সইপা দেয়ার জন্য একটা ফাদার ফিগার তৈরি করে কিংবা ফাদার নিজেই আইসা তাদের কাছে হাজির হয়। ইনডিভিজুয়াল এগ্রেশনের ক্ষেত্রে মাইন্ডের স্বভাব উল্লেখযোগ্য। মাইন্ড তার এগ্রেশন সকল সময়ে সকল জায়গায় সমানভাবে প্রকাশ করে না। মাইন্ড […]
মনের ঘরে (৪)
১২ ফোকাস এবং এটেনশন হইল হিউম্যান মাইন্ডের অসংখ্য ফ্র্যাজাইল তথা ভঙ্গুর পার্টের বিপরীতে সবচাইতে পাওয়ারফুল পার্ট। ধরণীর সকল মহৎ মহৎ সৃষ্টি এবং পরিবর্তনের আবির্ভাব হইছে মাইন্ডের ফোকাস আর এটেনশনের শক্তিতেই। কিন্তু অন্যান্য সেলফ কন্ট্রাডিকশনের মত এটা কন্ট্রাডিক্টলি (কিছু ক্ষেত্রে প্যারাডক্সিক্যালি) হিউম্যান মাইন্ডের দুর্বলতম পার্টও বটে। হিউম্যান মাইন্ডের ফোকাস এবং এটেনশনের ডিরেকশন খুব সহজেই প্রভাবিত করা […]
মনের ঘরে (৩)
৮ হিউম্যান মাইন্ডের সবচাইতে ভালনারেবল তথা ভঙ্গুর পার্ট হইল এইটাকে সহজেই ম্যানিপুলেট করা যায়। ম্যানিপুলেশন দুই ভাবে ঘটেঃ মাইন্ড নিজেই নিজেকে ম্যানিপুলেট করতে পারে (এইক্ষেত্রে মাইন্ড স্প্লিট হয়ে দুই বা ততোধিক ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে) এবং এক মাইন্ড অন্য মাইন্ডকে ম্যানিপুলেট করতে পারে। সাধারণত চাকরি-বাকরি, পরিবার, বন্ধু মহল এবং প্রেমিক-প্রেমিকাদের ক্ষেত্রে এক ইনডিভিজুয়াল আরেক […]
মনের ঘরে (২)
৪ সেলফ কন্ট্রাডিকশন ছাড়া হিউম্যান মাইন্ডের সবচাইতে বড় যে পিকুলিয়ার দিক আছে সেইটা হইল ডিনায়াল। খুবই নগণ্য একটা সংখ্যা বাদে বেশিরভাগ মানুষ বাঁচে ডিনায়ালে। ডিনায়াল হইল চোখের সামনে দেখা ফ্যাক্টরে অস্বীকার করা, অন্যের কাছে এবং নিজের কাছে। মানুষ অন্যের কাছে যতটুকু না ডিনায়াল শো করে তার থেকে বেশি করে নিজের কাছে। অলমোস্ট নিরানব্বই ভাগ ‘সত্য’ […]
মনের ঘরে (১)
১ হিউম্যান ষ্টুপিডিটির মোহময় এক ক্ষমতা আছে এবং এইটা আনলিমিটেড। এই ক্ষমতার বলেই দাঁড়াইয়া আছে মানব সৃষ্ট সকল সিস্টেম, সকল গল্প। এই ষ্টুপিডিটিই ঠেক দেয় মানুষের এক্সিসটেনশিয়াল ক্রাইসিস, সৃষ্টি করে মনুষ্য জীবনের পারপাস। একটা গল্প ইনভ্যালিড হইয়া গেলে জন্ম নেয় নয়া গল্প, একটা সিস্টেম কলাপ্স করলে জন্ম নেয় আরেকটা নয়া সিস্টেম। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হইল এই […]