আমি তো জানি না কিভাবে ভালোবাসতে হয়, ভালোবাসার কি কোন পন্থা আছে? আছে বোধয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী তো পার হইল ভালোবাসার রাস্তা খুঁজতে গিয়া, কিন্তু শুরুই হইল না এখনো ভালোবাসা। মহাকালের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জইমা উঠে ক্লান্তিতে জড়াইয়া আসে আমার জোড়া পা। এরই মধ্যে দৃশ্যমান হও তুমি, হও কি? নাকি আমিই […]
জীবনের অর্থ কী?
জীবনের অর্থ কী? মাটির উপর শ্রেষ্ঠত্বের দাবী নিয়া হাইটা বেড়ানো দোপেয়ে প্রাণীগুলার উদ্দেশ্য কী? এইসব প্রশ্ন শুনতে দার্শনিক প্রশ্ন মনে হইলেও, এইগুলা আসলে প্রথার নিজস্ব সম্পদ। তাইলে প্রথার প্রশ্ন কি দার্শনিক হইতে পারে না? সেইটা ভিন্ন আলাপ। এইসব প্রশ্নের উত্তর দিয়াই প্রথা নিজের অস্তিত্ব টিকাইয়া রাখে। এবং যেহেতু এইগুলা মূলত প্রথার জিনিস, তাই বলা যায় […]
তুমি কি হাসতেছ?
পৃথিবীতে আগুন লাইগা গেছে! তুমি কি হাসতেছ? তুমি তো ডুইবা আছো গভীর অন্ধকারে। এখন কি আলো চাইবা না? তোমার এই দেহটারে দেখো – যেন একটা অঙ্কিত পুতুল, একটা খেলনা, জোড়া দেওয়া, অসুস্থ, এবং মিথ্যা কল্পনায় টইটম্বুর। এইটা একটা ছায়া যা স্থান বদলায়, মুইছা যায়। কতটা ভঙ্গুর এই দেহ! ভঙ্গুর এবং আকস্মিক, এইটা অসুস্থ হয়, পচন […]
তুমি বাগান হইয়া শুইয়া থাকো
তুমি বাগান হইয়া শুইয়া থাকো আর আমি চাইয়া থাকি পলকহীন, গভীর স্পৃহা। আমার গ্রামের বাড়ির একটা খোলা জানালা — এই যেন তুমি বাহির হইয়া পড়লা, উদ্বিগ্ন, আমার সাক্ষাতের আকাংখায়। যেইসব রাস্তায় আমার দৈবাৎ দেখা মেলে — তুমি মৃদু পায়ে হাইটা বেড়াও, অতঃপর মিলাইয়া যাও শূন্যতায়। এবং মাঝে মাঝে, কোন এক দোকানের আয়নায় তুমি ভাইসা উঠো, […]
তোমারে দেখি না আমি
তুমি এইখানেই ছিলা, আমি দেখি নাই তুমি এইখানেই আছো, আমি দেখতে পাইতেছি না এইখানেই থাকবা তুমি, আমি দেখতে পাব না জন্মের আগেই আমার চোখে ফিল্টার বসানো হইছে, যেন দেখতে না পাই তোমারে তোমারে দেখার স্বাদ কি আমার জাগে? মনে হয় না, তবে তোমারে দেখি না এইটা খালি মনে হয় এই যে না দেখাদেখি, এইটাতে কি […]
দ্যা উইসডম অব ইনসিকিউরিটি
কোন বোধগম্য জিনিসই ফিক্সড না। এইটা একটা সিম্পল উইসডম। যে কেউ যে কোন জিনিসের উপর একটু মনযোগ দিলেই সেইটা বুইঝা ফেলার কথা। কিন্তু এই উইসডম যতই সিম্পল হউক না কেন, অলমোস্ট এনটায়ার হিউম্যান রেস এই এক জায়গায় আইসা নিজের জন্যই নিজে সমস্যা বাধায়। ব্যাপারটা কেমন? ব্যাপারটা কেমন তা আপনে ইতিমধ্যেই জানেন। আমিও জানি। আপনি আর […]
হে বসন্ত!
তোমার ঐ শিশিরসিক্ত কেশ! তুমি সকালের পরিষ্কার জানালা দিয়ে চোখ ফেলো নিচে, এখানে। তোমার ঐশ্বরিক চোখ ঘুরাও আমাদের পশ্চিম দ্বীপটায়, যেখানে পুরো গানের দল তোমাকে উৎযাপনের তরে ছোটে, হে বসন্ত! পাহাড় গুলো কথা বলে একে অন্যের সাথে। উপত্যকারা কান পেতে শুনে। আমাদের আকাঙ্খায় ভঁরা চোখগুলো তাকিয়ে থাকে তোমার উজ্জ্বল প্যভিলিয়নের দিকেঃ সামনে এসো এবং তোমার […]
দুই লাইনের কবিতারা
হুইস্পার ●● তোমার সৌরভ, যেন ঘোর অন্ধকারে নীরবতার কর্ণভেদী ফিস্ ফিস্। *** থান্ডার ●● তুমি বজ্রধ্বনি, ভগ্ন হৃদয়কে নির্মাণ করো, আমাকে করো দুই ভাগ। *** সিম্ফোনি ●● তোমার অম্লমধুর মিথ্যারা কর্ণকুহরে বাজিয়ে যায় মহা ঐকতান। *** অপটিমিজম ●● ইঙ্গিতপূর্ণ আদিম স্রোতের টানে, সীমাহীন সমুদ্র তটে একত্রে হেঁটে বেড়াব দু’জন। *** মিউজ ●● একবার যদি হৃদয় […]
মিথ
আইনস্টাইন একবার বলছিলেন, “যদি চান আপনার সন্তান বুদ্ধিমান হউক, তাইলে তাঁরে কল্পকাহিনী পইড়া শুনান। যদি চান সে আরও বুদ্ধিমান হইয়া উঠুক, তাইলে তাঁর কানের কাছে আরও বেশী কল্পকাহিনী পড়েন।” ফেয়ারি টেইলস, আর মিথোলজির অনেক শক্তি। এইটা বেশীরভাগেরই রিয়েলাইজেশনের বাইরে। এইগুলা শুধু বাচ্চাদের না, সব বয়সী মানুষের ইনটেলেক্টরেই ডমিনেট করে। মিথ, আর কল্পকাহিনী মানুষের ইমাজিনেশনরে বাড়াইতে […]
দ্যা এইজ অব অ্যাংজাইটি
পরিপূর্ণ বাহ্যিক রূপে আমাদের এই জীবন দুটি অন্তহীন অন্ধকার পিণ্ডের মধ্যিখানে একটি আলোর ঝলকানি। প্রথম অন্ধকার জন্মপূর্ব এবং দ্বিতীয় অন্ধকার ভবলীলা সাঙ্গ করার পরবর্তীকাল। তবে এই দুই অন্ধকার রাত্রির মাঝখানের আলোর ঝলকানিটা কোন পরিষ্কার রোদেলা দিন নয়, বরং অস্থিরভাবে মেঘাচ্ছন্ন। সুখানুভূতিতে আমাদের ইন্দ্রিয়গুলো যতই সক্ষমতা অর্জন করে, ততই সেগুলো যন্ত্রণার কাছে অসহায় হয়ে পড়ে — […]