zeno

জিনোঃ জীবনের লক্ষ্য হল প্রকৃতির সাথে এক হয়ে বাঁচা

অ্যারিস্টটলের মৃত্যুর পর পশ্চিমা দর্শনে দুটি প্রধান দার্শনিক চিন্তার স্কুলের আবির্ভাব হয়েছিলো। একটা ছিল এপিকিউরাসের ঈশ্বরহীন আনন্দবাদী নীতি—যেটা লোকের কাছে খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, আর আরেকটা ছিল জিনো অফ সিটিয়াম-এর জনপ্রিয় এবং দীর্ঘ মেয়াদী নিঃস্পৃহবাদ। জিনো ডাইয়োজিনিস-এর অনুসারী সিনিকদের সাথে পড়ালেখা করেছিলেন—যেখানে তিনি ব্যক্ত করেছিলেন জীবনের প্রতি তার বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কথা। আধ্যাত্মিক জল্পনা-কল্পনায় তার ধৈর্য […]

dio

ডাইয়োজিনিসঃ অল্পতে যে তুষ্ট সেই ধনী

ডাইয়োজিনিসের কথা বলতে গিয়ে প্লেটো একবার বলেছিলেন, “সে হল পাগল হয়ে যাওয়া সক্রেটিস।” যদিও কথাটা উনি বলেছিলেন অপমান করার উদ্দেশ্যে, কিন্তু কথাটা খুব একটা মিথ্যা না। সক্রেটিসের মত ভালো কাজ করা এবং জাগতিক আরাম-আয়েশকে প্রত্যাখ্যান করার অনুরাগ ডাইয়োজিনিসেরও ছিল, কিন্তু ডাইয়োজিনিস সেটাকে নিয়ে গিয়েছিলেন চরম পর্যায়ে। তার মতে, একটা ভালো কিংবা বাঁচার যোগ্য জীবন যাপন […]

atom

ডেমোক্রিটাস এবং লিওকিপাসঃ অস্তিত্বে শূন্য আর পরমাণু ছাড়া কিছু নেই

ব্রহ্মাণ্ড কি একটা একক মৌলিক উপাদান থেকে তৈরি কিনা সেটা নিয়ে দার্শনিকরা ভাবা শুরু করেছিলেন খ্রিস্টপূর্ব ছয় শতাব্দীর পর থেকে। পঞ্চম শতাব্দীর দিকে, গ্রীসের এবডেরা থেকে ডেমোক্রিটাস এবং লিওকিপাস নামে দু’জন দার্শনিক বললেন যে, ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছু একটা ক্ষুদ্র, অদৃশ্য এবং অপরিবর্তনীয় কণা দ্বারা তৈরি, যার নাম উনারা দিয়েছিলেন পরমাণু। প্রথম পরমাণু থিওরি ডেমোক্রিটাস এবং লিওকিপাস […]

heraclitus

হেরাক্লিটাসঃ জগতে কোন কিছুই স্থির নয়

পশ্চিমা দর্শনের শুরুর দিকে ব্রহ্মাণ্ডের শারীরিক প্রকৃতি নিয়ে নানান বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা উদ্ঘাটনে গ্রীক দার্শনিকরা যখন মহা ব্যস্ত, হেরাক্লিটাস তখন বলে উঠলেন যে ব্রহ্মাণ্ডে সবকিছুই একটা ঐশ্বরিক লোগো দ্বারা পরিচালিত। এই লোগোকে মাঝে মাঝে বলা হয় ‘যুক্তি’ অথবা ‘তর্ক’। হেরাক্লিটাসের মতে, লোগো হল সর্বজনীন—একটা মহাজাগতিক নিয়ম, যাকে কেন্দ্র করেই অস্তিত্বশীল হয় সকল কিছু এবং যার মাধ্যমে […]

thales

থেলিস অফ মিলেটাসঃ পানিই সকল বস্তুর উৎস

খ্রিস্টপূর্ব ৮-৬ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের দিকে গ্রিসের উপদ্বীপবাসীরা ধীরে ধীরে শহর-নগরে বসতি শুরু করে দিয়েছিলো। তৎকালে তারা বর্ণানুক্রমিক লেখার একটি পদ্ধতি তৈরি করেছিলো, যার সাথে সাথেই খুলে গিয়েছিলো দর্শন-জগতের এক মহাদরজা যা আজকে আমাদের কাছে পশ্চিমা দর্শন নামে পরিচিত। এর আগের বিদ্যমান সভ্যতাগুলোর কাছে তাদের চারপাশের ঘটনা-দুর্ঘটনাগুলোকে ব্যাখ্যা করার একমাত্র ভরসা ছিলো ধর্ম। সেখানে এখন […]

a

লাও জুঃ যে পথের কথা বলা যায় তা শাশ্বত নয়

খৃষ্টপূর্ব ছয় শতাব্দী। চীনে তখন জৌ রাজবংশের শাসনে ছেদ পড়েছে। পাশাপাশি সেখানে ঘটে গেছে এক বড় ধরনের পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের ফলে চীনের আদালতগুলোতে জন্ম নিয়েছে প্রশাসনিক এবং ম্যাজিস্ট্রেটের একটা নতুন সামাজিক দল। সমাজকে কীভাবে আরও কার্যকরভাবে শাসন করা যায় সেই সম্পর্কিত স্ট্র্যাটেজি তৈরির কাজে এরা নিজেদেরকে নিয়োজিত করেছে। এদেরকে একত্রে বলা হত ‘দ্যা হান্ড্রেড স্কুলস […]

abstract Fiber bouquet by David Moreno Dominguez

মনের ঘরে (৮)

২৬ একটা মানব শিশু জন্ম গ্রহণ করার পরে সুইটু-কিউটু, গুলুগুলু, এডোরেবল সময়টা পার কইরা সলিড খাবার খাওয়া, হাঁটা এবং কথা বলা শিখার পর একটু শক্তপোক্ত হইয়া উঠলে তার ভেতরে একটা বিলিফ সিস্টেম ঢুকাইয়া দেওয়ার পাশাপাশি কনট্রাডিক্টলি যেই জিনিসটার ইনপুট দেওয়া শুরু করা হয় সেইটা হইল লজিক। শিশু মাইন্ডরে শেখানো হয় একের সাথে এক যোগ করলে […]

abstract Fiber bouquet by David Moreno Dominguez

মনের ঘরে (৭)

২৩ এই প্ল্যানেটে যত প্রাণী আছে (অন্যান্য গ্রহের সলিড কোন খবর আমরা এখনো জানি না) তার মধ্যে মানুষ নিজেরে শ্রেষ্ঠ মনে করার অন্যতম প্রধান কারণ হইল হিউম্যান মাইন্ড অনুভব করে কিংবা ভাইবা নেয়, যে, সে যা কিছুই করে তার প্রায় সবকিছুতেই তার নিজের চয়েস বইলা কিছু একটা আছে। অর্থাৎ তার স্বাধীন ইচ্ছা আছে। সে মনে […]

abstract Fiber bouquet by David Moreno Dominguez

মনের ঘরে (৬)

২০ হিউম্যান মাইন্ডের যত ধরনের সাফারিং আছে সেইগুলারে সাম আপ করলে একটা মেজর পার্ট দখল কইরা রাখবে মাইন্ডের এংজাইটি এবং স্ট্রেস তথা মানসিক উদ্বেগ এবং চাপ। কালেক্টিভ লেভেলে খুব একটা জোরালো না হইলেও প্রতিটা ইনডিভিজুয়াল মাইন্ড বেশিরভাগ সময় ধরাশায়ী হইয়া থাকে এংজাইটি আর স্ট্রেসের কারণে। যে কোন কিছু করা বা না করা নিয়া মাইন্ড প্রায়ই […]

abstract Fiber bouquet by David Moreno Dominguez

মনের ঘরে (৫)

১৬ ইনডিভিজুয়ালি প্রতিটা হিউম্যান মাইন্ড অনেকক্ষেত্রে এগ্রেসিভ এবং ভায়োলেন্ট হইলেও কালেক্টিভলি সে খুবই সাবমিসিভ তথা সহজেই বশ্য। কালেক্টিভলি হিউম্যান মাইন্ড নিজেরে সইপা দেয়ার জন্য একটা ফাদার ফিগার তৈরি করে কিংবা ফাদার নিজেই আইসা তাদের কাছে হাজির হয়। ইনডিভিজুয়াল এগ্রেশনের ক্ষেত্রে মাইন্ডের স্বভাব উল্লেখযোগ্য। মাইন্ড তার এগ্রেশন সকল সময়ে সকল জায়গায় সমানভাবে প্রকাশ করে না। মাইন্ড […]