দুই মাথাওয়ালা কবিতা

বল “মৃত্যু” এবং পুরো ঘরখানা জমে যাবে— এমনকি আসবাবপত্রগুলো নড়াচড়া বন্ধ করে দিবে, এমনকি বাতিগুলোও। যেন একটা কাঠবিড়ালি হঠাৎ তাঁর উপর নিবদ্ধ কোন দৃষ্টির অস্তিত্ব টের পেল। বল “চলমান”, সবকিছুই নড়েচড়ে উঠবে, ছুটবে সম্মুখ পানে, তোমার জীবন পুরনো ফিল্মের অমসৃণ পৃষ্ঠতলকে তুলে নিয়ে চলতে থাকবে। এটা জপতে থাকো, মুখে ধরে রাখো মুহূর্তের পর মুহূর্ত, দেখবে […]

যে আলো বেয়ে উঠে তোমার পা থেকে চুলে

যে আলো বেয়ে উঠে তোমার পা থেকে চুলে, যে শক্তি আঁকড়ে ধরে তোমার কমনীয় অবয়ব, তাঁরা নয় কোন মুক্তোর মা, নয় কোন শীতল রৌপ্যঃ তুমি একটা রুটি, আগুনের আদুরে আঁচে তৈরি রুটি। শস্যরা বেড়ে উঠেছিল তোমার ফসলে, শুভ সময়ে ফুলে উঠেছিল ময়দারা; ঠিক যেন ময়দার তালে ফোটা গোলাপ, দ্বিগুণিত তোমার বক্ষযুগল, আর আমার ভালোবাসা ছিল […]

আমিই প্রথম ভালবেসেছি তোমায়

আমিই প্রথম ভালবেসেছি তোমায়ঃ কিন্তু তারপর তোমার প্রেম টপকে দিয়ে আমারটা, গেয়ে উঠল এমন উচ্চসুরের গান যে সুরে হারিয়ে গিয়েছিল আমার ঘুঘুর মিষ্টি কূজন। কে কার কাছে বেশী ঋণী? আমার প্রেমটা ছিল দীর্ঘ, আর তোমার এক মুহূর্তের প্রেম যেন আরও শক্তভাবে আঁকড়ে ধরেছিল আমায়; আমি ভালবেসেছি, অস্পষ্ট চোখে দেখেছি তোমায়, তুমি বিশ্লেষণ করেছো আমার ব্যাকরণ […]

কারণ আমি মৃত্যুর জন্য দাঁড়াতে পারিনি

কারণ আমি মৃত্যুর জন্য দাঁড়াতে পারিনি— সে নিজেই অনুগ্রহ করে দাঁড়িয়েছিল আমার জন্যে— ক্যারিজটা শুধু আমাদেরকেই বহন করছিল— আর সাথে অমরত্ব। আমরা ধীরে এগুতে লাগলাম — তাঁর কোন তাড়া ছিলনা এবং আমি ছেড়ে দিলাম আমার সকল শ্রম, ব্যস্ততা আর অবসরটুকুও, তাঁর সৌজন্যে। আমরা স্কুলটা অতিক্রম করলাম, যেখানে শিশুরা খেলছিল — বলয়টাতে — আমরা অতিক্রম করলাম […]

ব্যাকুল আমি, চাই তোমার মুখ, তোমার কণ্ঠ, তোমার চুল

ব্যাকুল আমি, চাই তোমার মুখ, তোমার কণ্ঠ, তোমার চুল। নির্বাক, তীব্র ক্ষুধায় কাতর আমি, খাদ্যান্বেষণে ঘুরে ফিরি পথে পথে। রুটিতে আমি তুষ্ট হই না, ভোর আমাকে ব্যহত করে, সারাটি দিন আমি খুঁজে বেড়াই তোমার পায়ের তরল পদধ্বনি। আমি ক্ষুধার্ত তোমার মুখের নরম হাসির জন্যে, তোমার হাতের ঐ বুনো ফসলের রঙটার জন্যে, তোমার নখের বিবর্ণ পাথর […]

আমি তোমার হৃদপিণ্ড সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়াই

আমি তোমার হৃদপিণ্ড সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়াই (তোমার হৃদপিণ্ড আমারটার ভিতরেই থাকে) এটা ছাড়া আমি এক মুহূর্তও থাকতে পারি না (যেখানেই আমি যাই, তুমিও যাও, প্রিয়া; আমি যা করি; সেটা যেন তুমিও কর) আমি ভঁয় পাই না অদৃষ্টকে (কারণ তুমিই আমার অদৃষ্ট, প্রিয়তমা) দুনিয়ার কিছুই আমি চাইনা (কারণ তোমার সৌন্দর্যেই অস্তিত্বমান আমার পুরো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড) […]

ধ্বংসের সংস্কৃতি

কেন আমরা কেবল ধ্বংস করা ছাড়া আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে নিজেদের খাপ খাওয়াইতে পারি না? কেন আমাদের সমাজ, আমাদের সংস্কৃতি সবসময় আমাদেরকে একটা অনন্য পন্থায় দেখায় যে আমরা যে পরিমাণ টাকা আর শ্রম ইনভেস্ট করি তাঁর উপযুক্ত রিটার্ন আমরা পাই না, আরও পাওয়া দরকার? কেন আমাদেরকে বুঝাইয়া দেওয়া হয় যে আমাদের অর্জিত সফলতা হইল আসলে […]

তবুও আমি জেগে উঠি

তুমি হয়তো ইতিহাস লিখবে আমাকে নিয়ে তোমার তিক্ত, মুখরোচক মিথ্যাক্ষরে। হয়তো তুমি আমায় পুতে ফেলবে মাটির খুব, খুব গভীরে। তবুও আমি জেগে উঠবো, ধুলোর মতই। আমার এই রুক্ষতায় কি তুমি মর্মাহত? কেন তুমি বিষাদে ডুবে যাচ্ছ? কারন আমি আত্মবিশ্বাসে হেঁটে বেড়াই যেন মূল্যবান তৈল খনি পেয়েছি আমার নিজের ঘরেই! আমি জেগে উঠবো সূর্যের মত, চন্দ্রের […]

ভালোবাসার পর ভালোবাসা

সময় আসবে যখন বিশুদ্ধ আনন্দে উচ্ছসিত তুমি নিজেকে আলিঙ্গন করবে নিজের দরজায়, নিজের আয়নায়, এবং তুমি আর ‘তুমি’ দুজনের ঠোঁটের কোণেই ফুটে উঠবে হাসি, আলিঙ্গনে। এবং যা বলার আছে বলো, বস এখানে, খেয়ে নাও। তুমি আবারো ভালবাসবে সেই আগন্তুককে, আগন্তুক তোমারই ছদ্মবেশ। পানাহার করাও। সর্বোপরি হৃদয়টা তাকে ফেরত দাও যাকে ভালবেসে এসেছ শুরু থেকে, অবহেলাও […]

ভালোবাসায় ঢেউয়ের উঠানামা

আপনে যখন কাউরে ভালোবাসেন, তখন তাঁরে আপনি সারাজীবন প্রতিটা মুহূর্তে একই রকম ভাবে অথবা একই তালে ভালোবাসতে পারেন না। এইটা একটা অসম্ভব ব্যাপার। এবং এইটারে সম্ভব মনে করাটাও একটা বড় ধরণের মিথ্যা, নিজের সাথে প্রতারণা। কিন্তু তারপরেও আমরা সবাই ঠিক এই জিনিসটাই দাবী কইরা বসি। আমরা চাই আমাদের ভালোবাসার মানুষটা যেন আমাদেরকে সারাটি জীবন একই […]