শব্দেরা কি পৃথক হয়, বিচ্ছিন্ন হয়? নাকি একটা লম্বা বেলুনের থোকার মত — তারা উড়ে বেড়ায়, আর ফুটতে থাকে একই সময়ে? অপূর্ব নীলিমা এই তো সব! কোন বিন্দু নয়, কেন্দ্র নয় — তবুও সর্বত্র ভেসে বেড়ায় স্মিত হাস্য মুখখানি। তর্জমা © শরিফুল ইসলাম নভেম্বর ২২, ২০১৬। [নিক জেরনিন — ওয়েস্টল্যান্ড ওয়ার্ডস]
Category: অনুবাদ কবিতা
নাইট অব স্লিপলেস লাভ
রাত্রিটা দাঁড়িয়ে ছিল মাথার উপর। আমরা দু’জন। পূর্ণিমা। কান্না জুড়ে দিলাম আমি, তুমি হাসলে। তোমার অবজ্ঞা হয়ে উঠেছিল ঈশ্বর, আমার আর্তনাদ মুহূর্ত আর ঘুঘুরা আটকা পড়েছিল শিকলে। রাত্রিটা শুয়ে ছিল পদতলে। আমরা দু’জন। ব্যথার কাঁচ। মহা দূরত্বে ছড়িয়ে পড়েছিল তোমার ফুঁপানো কান্না। তোমার ক্ষীণ হৃদপিণ্ডের উপরে আমার ব্যথাটা ছিল একটা নিদারুণ যন্ত্রণার থাবা। ভোর এল […]
সিম্পলি দিস
জীবন — নিস্পন্দ, নরম এবং স্বচ্ছ স্পষ্ট। হাসতে হাসতে সে মরে যায় যখন খুঁজে পায় তাঁর আদি উৎস। মৃত্যু — মুচকি হাসে, গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে এক ফোঁটা সুখের জল। আবিস্কারের আনন্দে সে লাফিয়ে উঠে — “আরে! জীবন তো এটাই!” তর্জমা © শরিফুল ইসলাম [লিজ জোন্স — সিম্পলি দিস]
মায়া
তুমি কি কেবলই একটা ভ্রমের সৃষ্টি? নাকি তুমিই সৃষ্টি করো ভ্রম? তুমি কি এই শরীরের একটা অংশ? নাকি শরীরটা তোমারই একটা অংশ? এই ঘরের ভেতরেই কি শুন্যতা বিরাজমান? নাকি শুন্যতায় বিরাজ করে এই ঘর? নাকি ঘর আর শুন্যতা দুটোরই অস্তিত্ব শুধু চোখের দৃষ্টিতে? চক্ষুটা কি মনের ভেতরে থাকে? নাকি মনটা এই চোখের ভেতর? নাকি মন […]
নো পেইন্টিং
কোন রং-তুলির আঁকিবুঁকি নয় যাহা আছে তাহা তাহাই থাক পাখিরা গান গেয়ে যাচ্ছে আসমান থেকে জলধারা এসে গিলে খাচ্ছে মৎসদের মঞ্চস্থ হচ্ছে নাটক নাটকের নাম “আমরা” নাটক চলছে, নাট্যশালায় আলসেমি যত গভীরেই যাওয়া যায় কখনই খুঁজে পাওয়া যায় না ‘আমি’ বলতে কিছুই। তর্জমা © শরিফুল ইসলাম নভেম্বর ০৪, ২০১৬। [পার নিয়েলসেন —নো পেইন্টিং]
আমার ভয় হয় একটা শরীরের অধিকারী হতে—
আমার ভয় হয় একটা শরীরের অধিকারী হতে— ভয় করে একটা আত্মার ভার নিতেও— অগাধ — বিপদজনক সম্পত্তি— মালিকানা — ঐচ্ছিক নয়— জোড়া সম্পদ — লিখে দেয়া হয়েছে একজন সন্দেহাতীত উত্তরাধিকারের ভোগে— একজন নৃপতি, অমরত্বের একটা মুহূর্তে এবং ঈশ্বর, একটা সীমান্তে। তর্জমা © শরিফুল ইসলাম এপ্রিল ০৭, ২০১৭। [এমিলি ডিকিনসন]
প্রতিধ্বনি
আমি জানি আমি গুপ্তধন খুজছিলাম পুকুরের স্বচ্ছ জলে যখন তোমার মুখ… যখন তোমার মুখটি যেন কুয়োয় প্রতিফলিত চাঁদ। যেখানে আমার ইচ্ছে… যেখানে খুব ইচ্ছে পুষি তোমার চুমুর হিমশীতল অগ্নি ছোঁয়ার শুধু আমার ঠোঁটের জলে যেখানে তোমার মুখ… যেখানে তোমার মুখের ছবির প্রতিফলন হয়, প্রাণবন্ত! ঠিক সেখানে নয়, যখন আমি পেছন ফিরে দেখি শূন্য হাওয়া। সেই […]
তোমাকে ভালোবাসার আগে
তোমাকে ভালোবাসার আগে, প্রিয়া, কিছুই ছিলো না আমারঃ আমি ঘুরে বেরিয়েছি রাস্তায়, জিনিসপত্রের মাঝখানেঃ সবই ছিলো অর্থহীন অথবা নামহীনঃ পুরো পৃথিবীটা ছিলো ফাঁকা, অপেক্ষারত। আমি দেখেছি ছাইয়ে ঠাসা ঘরগুলো, দেখেছি সুড়ঙ্গের সারিগুলো যেখানে ছিলো চাঁদের আবাস, দেখেছি অভব্য গুদাম ঘর, যে ঘর গোস গোস করে বলে উঠে “বের হও”, দেখেছি বালির মধ্যে প্রশ্নের জোরাজুরি। সবকিছুই […]
রানী
আমি তোমার নাম দিয়েছি রানী। তোমার চেয়েও দীর্ঘদেহী কেউ আছে, আরও দীর্ঘ। তোমার চেয়েও বিশুদ্ধ কেউ আছে, আরও বিশুদ্ধ। তোমার চেয়েও প্রাণবন্ত কেউ আছে, আরও প্রাণবন্ত। কিন্তু তুমিই রানী। যখন তুমি হেঁটে বেড়াও রাস্তাগুলোতে কেউ চিনতে পারে না তোমাকে। দেখতে পায় না কেউ তোমার মাথার স্বচ্ছ মুকুট, চোখ পড়ে না কারো তোমার পায়ের তলায় দলিত […]
অ্যামোর
এতগুলো দিন, আহ! এতগুলো দিন এতটা কাছে, এতটা স্পষ্ট করে দেখেছি তোমায় কি করে শোধবো এই ঋণ, কি দিয়ে শোধবো, বলো? কুঞ্জবনে জেগে উঠেছে রক্ত পিপাসু বসন্তটা। শৃগালেরা ছেড়েছে তাঁদের ধরাধাম, সর্পরা আকণ্ঠ পান করেছে শিশির বিন্দু, আর আমি, দেবদারু আর নীরবতার মাঝখানে তোমার সাথে ঘুরে বেড়াই পাতায় পাতায়, নিজেকে সুধাই, কখন এবং কিভাবে তোমাকে […]