অ-ঈশ্বর

একশো সতেরটা জনম পার করার পর আমি আটকা পড়েছি আঠারোতে,
সেও অর্ধ শতাব্দী আগের কথা। পুনর্জন্মের তৃষ্ণায় আমার আত্মা ফেটে এখন চৌচির।
থমকে গেছে জন্মান্তরের উড়ন্ত পাল। নিস্তব্দ। সময়ের জরায়ুতে এখন আর উর্বরতা নেই।

সূর্যটাও স্থির। চারিদিকে বিস্তীর্ণ আলোর জাল। আছে আত্মা জ্বালা করা তাপ।
তবে আলোর ফোটনগুলো সব আমার মতই তৃষ্ণার্ত। ঢেউ নেই, ঢেউ নেই।
জলের প্রতিটা কণা অভিশাপ ছুঁড়ে দিচ্ছে আমার দিকে। হাঁসফাঁস করছে
স্থির সময়ে আটকা পড়া জলরাশি।

এরপর আমার দিকে গালাগাল ছুঁড়তে থাকে সময় নিজেই। বলে উঠে,
‘আরে, আমি তো এতকাল জানতামই না আমার অস্তিত্বের খবর। এখন
মারাত্মক অস্বস্তি লাগছে। আটকে গেছে দম। শুধু তুমিই দায়ী।’

আমার প্রতিটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এবার নড়েচড়ে বসে। অভিশাপ দেবে। উদ্ধার
করবে ঈশ্বরের গুষ্ঠি। এই আঠারোতে আমাকে আটকে রেখেছে তো ঈশ্বরই।
এবার তাঁকে তুলোধুনো করার পালা। কিন্তু হায় – এ যে আমি – আমি, আমি এবং আমি।

শরিফুল ইসলাম
এপ্রিল ১৯, ২০১৮, ঢাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *