দ্যা ন্যাচার অব দ্যা বিস্ট

মানুষ হইলো জাস্ট একটা জিনিস। সে খায়, ঘুমায়, আর সেক্স করে। বাকি সবই হইলো শুধু টাইম পাস। এখন, সে ঐ তিন কাজের মধ্যে কোনটা সবচাইতে বেশী করবে এইটা ডিপেন্ড করে তাঁর ভিতরের খাদটা কত বড় তাঁর উপর। জানেন আমি কোন খাদের কথা বলতেছি? ওইটা……… ঠিক আপনার বুকের নিচে যেইটা। শিশুর জন্মের পর প্রথম নিঃশ্বাসটা টান দিলেই তাঁর ভিতরে এই খাদের মুখটা খুইলা যায়। এই জন্যেই বাচ্চারা চিৎকার করে। আর আমরা ভাবি আমাদের ভিতরে বোধয় এক অশরীরী আত্মার বাস, কিংবা সেই বিকট সাদা তিমি, কিংবা অন্ধকারের রাজকুমার। কিন্তু আসলে তা না। এইটা আসলে কেবলই এক বিশাল শূন্য খাদ।

মানুষ এই খাদ পূরণ করার চেষ্টা করে নারী দিয়া, পুরুষ দিয়া, টাকা দিয়া, কিতাব দিয়া, ক্ষমতা দিয়া এবং এই জগতে যা কিছু সম্ভব তাঁর সব দিয়া। আপনে কি জানেন একটা বালক আর একটা পুরুষের মধ্যে পার্থক্য কি? এইটা হইলো উইসডম…… বয়সের জ্ঞান। কিন্তু যা কিছুই করেন না কেন, সেই খাদ কিছুতেই পূরণ হয় না।

আমরা প্রিটেন্ড কইরা চলি যেন এইটা পূরণ হইয়াই আছে, কারণ কারোরই সত্যরে এডমিট করার যথেষ্ট সাহস নাই। কেহই স্বীকার করতে চায় না যে আমাদের বুকের নিচের সেই শূন্য খাদের ভিতরে যা বাস করে সেইটাই আসল আমরা। আর এইটা হইলো — নাথিংনেস। এবং আমাদের ভিতরের প্রতিটা অন্ধকার গুহা, প্রতিটা ক্রুদ্ধ তাড়না, এইগুলা হইলো কেবলই আমাদের পশুত্বের ন্যাচার।

জুলাই ২১, ২০১৭।
দ্যা ন্যাচার অব দ্যা বিস্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *