যখন মৃত্যু আসে

যখন মৃত্যু আসে
শরতের হিংস্র ক্ষুধার্ত ভালুকটির মত;
যখন মৃত্যু এসে হাতে নেয়
তার থলের ঝকঝকে পয়সাগুলি
আমাকে কেনার জন্যে;

যখন মৃত্যু আসে
গুটি বসন্তের মত

যখন মৃত্যু আসে
শিরধারায় অনুভূত হিমশীতল অনুভুতির মত,

বিস্ময় আর কৌতূহল ভরা চোখ নিয়ে আমি উঁকি দেই ঘরের বাহিরেঃ
কেমন হবে মৃত্যু, সেই আঁধার ভরা কুটিরটা?

তারপর আমি দেখি সবকিছুই,
দেখি সব, সবাই এক, নারীতে পুরুষে একাকার!
এবং আমি সময়কে দেখি কিন্তু
দেখিনা সময়ের অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যত রূপ।
দেখি অনন্ত মুহূর্ত।

এবং আমি দেখি প্রতিটা প্রাণ যেন এক একটা পুষ্প,
হাজারো পুষ্পের মাঠে একটা একক পুষ্প।

এবং আমি দেখি প্রতিটা উচ্চারিত নাম যেন মুখ নিঃসৃত সুর
যে সুর, অন্যসব সুরের মতই, নীরবতার দিকে ছোটে।

এবং প্রতিটা শরীরে দেখি সিংহ এর সাহস,
দেখি মহামূল্যবান কিছু।

যখন সব আয়োজন হবে শেষ; আমি জীবনকে বলতে চাই
আমি ছিলাম বিস্ময়ের বিবাহিত নববধূ,
আমি দু’হাত দিয়ে পৃথিবীকে আঁকড়ে ধরা সেই নববধূ।

যখন সব আয়োজন হবে শেষ; আমি ভাবতে চাই না
জীবনে সত্যিকারের বিশেষ কেউ কি হতে পারলাম!

আমি আর্তস্বরে ভীত অথবা তর্কবাগীশ আমিটাকে দেখতে চাই না,
আমি চাই না শেষটা হোক
শুধু টিকে থাকার,
আমি চাই
শেষটা হোক বেঁচে থাকার।

অনুবাদ
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬।
মূলঃ হয়েন ডেথ কামস-ম্যারি অলিভার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *