তোমার ঐশ্বর্য, আমার জাগতিক নস্টালজিয়া

আমি ভুলে গেছি পরজন্মের কথা, যেখানে আমার হারিকেন হয়ে
মিটিমিটি জ্বলার কথা ঈশ্বরের আঁতুড় ঘরে।
অথবা অগণিত দুঃখের জরায়ুতে মেদ হয়ে আটকে দেয়ার কথা জোড়া ফেলোপিয়ান নালীর পথঃ
অন্তহীন যৌনতার অবাধ আনন্দে দুঃখটা কুঁচকে রাখতো মুখ—চিরস্থায়ী বন্ধ্যাত্বে।
অথবা অশরীরী হয়ে ডোবার জলের মাছেদের কাছে আমার বলে দেয়ার কথা
নদী আর সমুদ্র জলে মিশে থাকা হীনমন্যতার গল্পটা—
যার আঁশটে গন্ধ লেগে থাকে তিমিদের গায়েও।
অথবা আমার ভাঙ্গা কণ্ঠে খাঁচা-বন্ধী পাখীদের গেয়ে শোনানোর কথা স্বাধীনতার ভ্রমের গীতঃ
দেহও তো মহাখাঁচা, খাঁচায় ভাসে ইথারও।
দেখো, আমি ভুলে বসে আছি সব, মুখ তোলে অতীতের দিকে।
আমি মা’কে দেখি, ভাইকে দেখি—দেখি পরিবার গিলে খাওয়া
উদরের ব্যথায় কোঁকড়ানো রাষ্ট্রের মুখ।
আমি ঘর দেখি, বাহির দেখি—দেখি জলশূন্য কলসের মুখে
বসে থাকা মগের পূর্ণ দরিদ্রতা।
এই সবই অতীত
সবই অতীত
সবই অতীত
কিন্তু হঠাৎ আজ—এখন—এই মুহূর্তে—মুহূর্তেরও আণবিক খণ্ডে—
আমার মনে পড়ে গেছে সব—পরজন্ম—
মনে পড়ে গেছেঃ
আমার সব জনমের পুঞ্জিভূত স্মৃতি নিয়ে কেমন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছো তুমি—
আমার এই জনমের অমরত্বের তরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *