মনের ঘরে (১)


হিউম্যান ষ্টুপিডিটির মোহময় এক ক্ষমতা আছে এবং এইটা আনলিমিটেড। এই ক্ষমতার বলেই দাঁড়াইয়া আছে মানব সৃষ্ট সকল সিস্টেম, সকল গল্প। এই ষ্টুপিডিটিই ঠেক দেয় মানুষের এক্সিসটেনশিয়াল ক্রাইসিস, সৃষ্টি করে মনুষ্য জীবনের পারপাস। একটা গল্প ইনভ্যালিড হইয়া গেলে জন্ম নেয় নয়া গল্প, একটা সিস্টেম কলাপ্স করলে জন্ম নেয় আরেকটা নয়া সিস্টেম। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হইল এই ষ্টুপিডিটির ঝুড়ি যেমন তলাবিহীন, আবার অন দ্যা কনট্রারি মানুষের (সংখ্যায় অতি নগণ্য হইলেও) প্রজ্ঞাও আকাশচুম্বী। এই দুইয়ের এমন মিশ্রণ জীবনরে কোন রকমে কিংবা জোরেশোরেই কইরা তোলে বাইচা থাকার জন্য ওয়ার্দি।


প্রাণ এবং অপ্রাণ মিলাইয়া রিয়্যালিটি গঠিত। রিয়্যালিটিতে টিকে থাকার জন্য অপ্রাণের কোন স্ট্রাগল নাই, অপ্রাণের স্ট্রাগল করা লাগে না। স্ট্রাগল শুধু প্রাণের, এই জন্য না যে স্ট্রাগল না করলে সে রিয়্যালিটি থাইকা বাইর হইয়া যাবে, বরং এই জন্য যে প্রাণ নিজেরে প্রাণ হিসেবেই টিকাইয়া রাখতে চায় যত দিন কিংবা যত সময় পর্যন্ত সম্ভব। এইটা সকল প্রাণের ক্ষেত্রেই সত্য। সকল প্রাণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য (যদিও উল্লেখযোগ্য না) প্রাণ হইল মনুষ্য প্রাণ। মনুষ্য প্রাণও অন্যান্য প্রাণের মত টিকে থাকতে স্ট্রাগল করে। কিন্তু এইখানে ব্যাপারটা একটু ইন্টারেস্টিং। মনুষ্য প্রাণ কীভাবে টিকে থাকবে সেইটা অনেকাংশে তরান্বিত হয় তার সাইকোলজি দ্বারা। অর্থাৎ মানুষ সিম্পলি শুধু অন্যান্য প্রাণের মত টিকে থাইকাই শান্তি পায় না।


মানুষ কি মরণকে ভয় পায়? অন্য সব প্রাণই তো পায় কিংবা ঠিক পায় না, তবে স্ট্রাগল তো করে, যেমন আপনি একটা পিঁপড়াকে আঙুল দিয়ে টিপে মারতে গেলে দেখবেন সে নিজেরে বাঁচানোর চেষ্টা করতেছে। তবে অন্যান্য প্রাণের ক্ষেত্রে এইটা ঠিক ভয় না, জাস্ট স্ট্রাগল হইতে পারে। কিন্তু মানুষ মরণকে ঠিকই ভয় পায়। এইটা ভয়, কারণ এইখানে স্রেফ প্রাণের চেয়ে সাইকোলজির ফাংশন বেশি। হ্যাঁ, মানুষ মরণকে ভয় পায়। আমি পাই, আপনি পান, সে পায়। এই ভয় থাইকাই কি মানুষের বেঁচে থাকার এত স্ট্রাগল? না, ঠিক তা না। মানুষ মরণকে ভয় পাইলেও আসলে পায় না। সে কেবল ভয় পায় তার সাইকোলজির ডিসসেটিশফেকশনরে। মানুষ বেঁচে থাকতে চায় এজন্য না যে জীবন অনেক সুন্দর, মানুষ বেঁচে থাকতে চায় এজন্য যে এই মুহূর্তে (মইরা যাওয়ার মুহূর্তে) সে একটা আশায় থাকে আরও কিছুদিন বাইচা থাকলে তার সাইকোলজিতে একটা সেটিশফেকশন আসবে কিংবা আরও কিছুদিন বাইচা থাকলে সে জীবনের সুন্দর রূপটা দেখতে পাবে যেটা সে কখনই দেখে নাই।

০৬-০৪-২০২০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *