মাটির গন্ধ শুঁকেই
আমি তোমাকে চিনেছিলাম।
তুমি যে মাটিই হতে পারো
তা বুঝতে আমার
কতকাল পেরিয়ে গেলো
দেখো তো!
যেদিন
তোমাকে নিয়ে গেলাম
কুমোরের কাছে,
তোমার দেহ দিয়ে
ফুলদানী বানাবো
নাকি সানকি
সেই সিদ্ধান্ত
আমি কিছুতেই
নিতে পারছিলাম না।
কুমোরের
কত জেনারেশন
কতবার সিদ্ধান্ত নিতে
এসে ফিরে গেছে
আমার জানা নেই।
একদিন
আমি তখনও সিদ্ধান্তহীন—
কুমোরের এক একরোখা
গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ডচাইল্ড
আমার মতামত ছাড়াই
তোমার দেহের সানকি রূপ নিয়ে
এসে হাজির হল।
আহ!
এমন একটা দিনের
অপেক্ষাতেই আমি ছিলাম।
দুপুরে স্নান সেরে
শরীরে তেল মেখে
পাটি বিছিয়ে
তোমার দেহভরে
নিয়ে বসলাম পান্তা-পেঁয়াজ।
চটকে চটকে
পেট ভরে খেলাম।
চক্ষু আমার ঢুলু ঢুলু
ঘুম ভাঙ্গার পর অথবা
মাস কতেক পর
দেখলাম
সানকিতে গজিয়েছে
একগুচ্ছ শাদা ফুল।
এখন
আমি দ্বিধান্বিত—
কোনটা তুমি?
ফুল নাকি সানকি?