অনেক বেশি
অনেক কম
অনেক মোটা
অনেক চিকন
অথবা অখ্যাত।
হাসি অথবা
অশ্রুজল
বিদ্বেষী
প্রেমিক
পেরেকের
পিঠের মত
আগুন্তকের মুখ
রক্তভেজা পথে
দৌড়ুচ্ছে সৈন্যরা
নাড়াচ্ছে মদের বোতল
সঙ্গিন দিয়ে খোঁচাচ্ছে আর চুদছে
কুমারীদের।
একটি সস্তা ঘরে
মি. মনরোর ছবি হাতে বসে আছে
এক বৃদ্ধ।
বিশাল এক একাকীত্বে ছেয়ে আছে পৃথিবীটা
ঘড়ির কাঁটার মন্থর নড়াচড়ায়ও
দেখতে পাবে তুমি সেই একাকীত্ব।
বড্ড ক্লান্ত মানুষগুলো
বিকলাঙ্গ
ভালোবাসায় কিংবা ভালো-না-বাসায়।
মানুষ মানুষের সাথে
ভালো না।
আমরা ভীত।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা
আমাদেরকে বলে
আমরা সবাই নাকি হতে পারব
বড় বড় চ্যাটের বাল।
এটা আমাদেরকে
নর্দমার কথা বলে না
অথবা বলে না আত্মহত্যাগুলোর কথা।
অথবা বলে না
নির্জনতায় একাকী একজনের ব্যথায়
নীল হয়ে যাওয়া আতঙ্কের কথা।
অস্পৃষ্ট
অব্যক্ত
গাছের গোঁড়ায় ঢালছে জল।
মানুষ মানুষের সাথে ভালো না।
মানুষ মানুষের সাথে ভালো না।
মানুষ মানুষের সাথে ভালো না।
মনে হয় এরা কখনো হবেও না।
এদেরকে আমি হতে বলিও না।
কিন্তু মাঝে মাঝে আমি এটা নিয়ে
ভাবি।
পুঁতিগুলো গেয়ে উঠবে
মেঘ জন্ম দিবে মেঘ
আর আইস্ক্রিম কোণ থেকে
একটা কামড় নেয়ার মতই
খুনি মাথা কাটবে শিশুর।
অনেক বেশি
অনেক কম
অনেক মোটা
অনেক চিকন
অথবা অখ্যাত
প্রেমিকের চেয়ে বিদ্বেষী বেশি।
মানুষ মানুষের সাথে ভালো না।
যদি হতো
হয়তো আমাদের মৃত্যুগুলো এত দুঃখের হতো না।
এদিকে আমার চোখ পড়েছে
তরুণীদের উপর
ডাঁটা
নিয়তির ফুলের।
কোন একটা উপায় তো থাকার কথা।
অবশ্যই কোন একটা উপায় আছে হয়তো
আমরা এখনও ভাবিনি।
মস্তিষ্কটা কে বসিয়েছে আমার ভেতর?
এটা কাঁদে
এটা ব্যাকুল হয়
এটা বলে—উপায় একটা আছে।
এটা কখনই বলবে না
“না”।
অনুবাদ ।। শরিফুল ইসলাম
অগাস্ট ২৮, ২০১৯
[দ্যা ক্রাঞ্চ – বুকোয়াস্কি]