লক্ষ্মী

তখন সন্ধ্যে হলেই
মা কুপি জ্বালাতে বলত, কিংবা হারিকেন,
মাঝে মধ্যে ভুল করে একটু দেরি হয়ে গেলে
জুড়ে দিত চেচামেচি। ঘরে নাকি লক্ষ্মী আসবে না!

লক্ষ্মীর কথাটা কানে গেলেই
একটা আবছা অবয়ব ভেসে উঠত আমার চোখে,
কোন ধর্মীয় লক্ষ্মী নয়,একজন স্মিত হাস্য মানবী।
টের পেতাম কুপি না জ্বালালেই সে বরং আসে,
মাকে সেটা বলতে পারতাম না।

দিবস আর রজনীর
সংক্ষিপ্ত এই সন্ধিক্ষণে ব্রহ্মাণ্ড বদল করত
দিবসের খোলস, আর আমি দেয়াশলাই খুঁজে না পাওয়ার ভান করে
অনুভব করতাম লক্ষ্মীকে।

এখনো সন্ধ্যে নামে
জানালার গ্রিল ধরে অন্ধকার এসে দাঁড়িয়ে থাকে পাশে,
আমি সলতে হাতে বসে থাকি,
কিন্তু কুপি নেই, হারিকেন নেই
লক্ষ্মী না আসার কুসংস্কারও নেই।

তবে লক্ষ্মী আছে—
আছে কিশোরের চোখে ভেসে উঠা
সেই আবছা অবয়ব।

এপ্রিল ৬, ২০১৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *