পেট ভর্তি মানুষ নিয়ে একাকীত্বে ভোগা এই শহরে—
গভীরতম বিষণ্ণতা নিয়ে আমার ঘুম ভাঙ্গে।
জগতের সবটুকু ভার এসে চেপে বসে আমার অস্তিত্বের উপর। আমি নড়তে পারি না। মনে হয় কোন এক শহুরে ঈশ্বর তার অমরত্বের অভিশাপ ঢেলে দিচ্ছে আমার বক্ষে। আমাকে সে কিভাবে চেনে আমি জানি না।
শহরের পেটের মানুষগুলো টের পায় না শহরটা কত একা। আমি পাই। আমি বোধয় মানুষ না। মানুষ না হওয়ার দুঃখ আমার নাই।
মানুষগুলো হাসে, কাঁদে—প্রেমে, অ-প্রেমে কাটিয়ে দেয় ঘড়ির কাঁটায় ঘুরপাক খাওয়া সহস্র ঘণ্টা। এর মধ্যে বিষণ্ণতার মুকুল নিয়ে আমি ঘুরে বেড়াই ফুল ফোটাবো বলে।
সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসে—
ফুলে ফুলে ভরে উঠে আমার শহুরে অস্তিত্ব। বিষণ্ণতার প্রস্ফুটিত ফুলের গন্ধে ভেসে বেড়ায় একটা অলৌকিক সুখ।
অতঃপর, মানুষগুলোর মধ্যে আমি হয়ে উঠি এক অলৌকিক একাকী সুখী অ-মানব।