বেশ্যার পায়ের কাছে পড়ে থাকে সভ্যতা
নীরব, নিস্তব্দ, শূন্য জোড়া চোখ
তিরতির কাঁপা জোড়া ঠোঁট
নিথর জোড়া পা
বাঁকা অবয়ব।
থেকে থেকে মাটিতে মাথা ঠুকে সভ্যতা
চাপা কান্না জুরে দেয়,
কি এক আশ্চর্য যন্ত্রণায়
পার হয়ে যায় শতাব্দী পর শতাব্দী,
কিন্তু তার মুক্তি মেলে না
বেশ্যার পদধূলি থেকে।
সভ্যতার বন্ধিত্বে
থেমে থাকে স্রোতস্বিনীর স্রোত,
দাঁড়িয়ে থাকে বাতাস,
নিজের তাপে নিজেই পুড়ে আগুন,
তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠে জল,
এবং স্পন্দন থেমে থাকে প্রাণের।
এই সকল স্তব্দতায়
কেবল নড়ে উঠে―জীব-মৃত বেশ্যার বাঁকা অবয়ব।