আয়না চোর

তোমার একটা আয়না আমি চুরি করেছি –
তুমি বলতে পারো, ‘চাইলেই পারতে, আমি দিয়ে দিতাম।’ কিন্তু না –
এই আয়নার সৃষ্টি হয়েছে শুধু চুরি হওয়ার জন্য। আমি বুঝে গেছি কালান্তরে
আমিই এটাকে চুরি করব বারবার।

আমি আয়না দেখি। সকাল, বিকাল, রাতে। আমার সবক’টা যুক্তির ঘর ভেঙ্গে চুরমার
হয়। আমি দেখি – একটা পরাবাস্তব সীমাহীন ছোট্ট পৃথিবীর প্রতিবিম্ব। দেখি – তোমার
চোখের মণিতে আবাস পেতে থাকা ব্রহ্মাণ্ডকেও। আত্মাটা আমার গলে বেয়ে হাতে নেমে আসে। ঢুকে পড়ে আয়নার হৃদপিণ্ডে। আমি ঘুরতে থাকি আত্মাহীন দেহটা নিয়ে আয়ানার বাইরের অ-বাস্তবতায়।

হঠাৎ যেন স্বাভাবিক গলায় আয়নাটা কথা বলে উঠে। কথা বলে এক অক্ষরহীন ভাষায়।
কোন কিছু নিয়েই নাকি তার কোন পূর্ব ধারনা নেই। সে শুধু তাৎক্ষণিক সত্যকে ধারন করে। এই সত্য বড়ই নিষ্ঠুর। আমার প্রতিটা দেহ কোষকে বিধ্বস্ত করে দেয় আঘাতে আঘাতে। অতঃপর, বিপরীত দিকে অপলক এক চাহনি নিয়ে ডুবে যায় সে গভীর ধ্যানে। এদিকে দ্বিখণ্ডিত আমি ঘুরতে থাকি এদিক-ওদিক।
ঠিক একজন আয়না চোরের মতই।

কবিতা। শরিফুল ইসলাম
মে ০৩, ২১০৮। ঢাকা

Comments

comments

3,249 views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *