জীবনের অর্থ কী? মাটির উপর শ্রেষ্ঠত্বের দাবী নিয়া হাইটা বেড়ানো দোপেয়ে প্রাণীগুলার উদ্দেশ্য কী? এইসব প্রশ্ন শুনতে দার্শনিক প্রশ্ন মনে হইলেও, এইগুলা আসলে প্রথার নিজস্ব সম্পদ। তাইলে প্রথার প্রশ্ন কি দার্শনিক হইতে পারে না? সেইটা ভিন্ন আলাপ। এইসব প্রশ্নের উত্তর দিয়াই প্রথা নিজের অস্তিত্ব টিকাইয়া রাখে। এবং যেহেতু এইগুলা মূলত প্রথার জিনিস, তাই বলা যায় এই প্রশ্নগুলা হাজার বছর ধইরা ব্যাডলি পৌজ করা হইছে, যেইখানে এইগুলার উত্তর মানুষের জীবনাচরণের মধ্যে ব্যপক প্রভাব ফালাইতে সক্ষম। আর যেহেতু ব্যাডলি পৌজ করা হইছে, তাই এইগুলার প্রভাবও হয় ব্যাড। খুবই ব্যাড।
তবে আমরা দোপেয়ে প্রাণীরা প্রতিনিয়ত মানসিকভাবে বিবর্তিত হওয়ার এক ধরণের সক্ষমতা অর্জন করছি (আবার বলা যায় এই সক্ষমতা বরাবরই আমাদের ছিল)। সেইজন্যে আমরা চাইলেই এই প্রশ্নগুলার উত্তর যত ভিন্নই হউক না কেন তাতে সবাই সবগুলা উত্তররেই সমান ভাবে যাপন করতে পারি। অন্ততপক্ষে আমরা সবাই একটা কাজ খুব কমন হিসাবে ধইরা নিয়া করতে পারি সেইটা হইল, হিউম্যান ফ্লারিশিং এর জন্য যথাযথ কন্ডিশনগুলা তৈরি কইরা রাখা। চাইলেই এইটা আমরা পারি এর কারণ জীবনের উদ্দেশ্য নিয়া আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন ভিন্ন হইলেও জীবন যে আছে সেইটাতে আমাদের কারো কোন সন্দেহ নাই।
এখন এই কন্ডিশনগুলা তৈরি করার জন্যে কি কি করা দরকার? প্রথমেই আমাদের দোপেয়ে সন্তানগুলার হাইলি সফিসটিকেইটেড মগজগুলারে প্রথার দেখানো ভয় আর বিষাক্ত ঘৃণার বীজ দিয়া ভর্তি করা থাইকা নিজেদেরকে বিরত রাখা জরুরী। এই কাজটা করা কঠিন। কিন্তু কি করা, নিজেদের আপাত শ্রেষ্ঠত্ব ধইরা রাখার কথা চিন্তা কইরা হইলেও আপনারে এই কাজটা করতে হবে। সাথে আরও যেইটা করতে পারেন সেইটা হইল, ছেলে সন্তানগুলারে তাঁদের নারীদেরকে নিজস্ব ভবিষ্যৎ সম্পত্তি মনে কইরা কর্তৃত্ব খাটানোর মেন্টালিটি গ্রো করা থাইকা বিরত রাখা এবং মেয়ে সন্তানগুলারে নিজেরে পুরুষের সম্পত্তি মনে কইরা সাবমিসিব এটিটিউড গ্রো করা থাইকা বিরত রাখা। এবং সর্বোপরি, আপনে আপনার সন্তানদেরকে বলতেই পারেন যে জীবন হইল সেই জিনিস – যা শুরু হয় আশ্চর্যে এবং শেষও হয় আশ্চর্যে।
এপ্রিল ০১, ২০১৮