“Art depends on truth, but truth, being indivisable, cannot know itself: to tell the truth is to lie. thus the writer is the truth, and yet when he speaks he lies.” – Franz Kafka
লেখকরা মিথ্যাবাদি। অন্যরাও। লেখকরা মিথ্যা বলে লেখার মধ্য দিয়া। যা সে লিখতে চায় তা যদি মুখে বলে তখনও সে মিথ্যাই বলে।
এইটা কেমন কথা হইল?
হ্যাঁ, সত্য শুধু লেখকরা না, কেহই বলতে পারে না, পারে নাই। সত্য বলা যায় না, লেখাও যায় না। কারণ সত্য যে লিখতে চায় বা বলতে চায় সে নিজেই “সত্য”। আর কোন কিছুই নিজে নিজেরে ডিফাইন করতে পারে না।
ব্রিটিশ দার্শনিক এলান ওয়াটস এই ব্যপারে বলে, আগুন নিজেরে পুড়াইতে পারে না, ছুরি নিজেরে কাটতে পারে না, হাতের একটা আঙ্গুলের মাথা নিজে ঠিক সেই আঙুলের মাথাটা ছুঁইতে পারে না, দাঁত নিজেরে নিজে কামড়াইতে পারে না।
আমি মহাবিশ্ব, অস্তিত্ব, জীবন, মরণ, ইটারনিটি, আর সময় নিয়া যত ব্যাখ্যা দেই সবই মিথ্যা। সামনে হয়তো আরও দিব। সেইগুলাও মিথ্যাই হইব। পাঠক এই মিথ্যা থাইকা সত্যরে খুইজা নেয় উইজডম দিয়া।
উইজডম কি?
জার্মান লেখক হারমান হেস বলে, (Wisdom) এমনই এক জিনিস যা দিয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করা যায় কিন্তু বিতরণ করা যায় না। কাউকে শিখানো যায়না। যা বিতরণ করা যায় তা হল বিদ্যা (Knowledge)। Wisdom অর্জিত হয় সাধনায়, তা ভাষায় প্রকাশ করলেই তাঁর সমগ্রতা, পূর্ণতা ও ঐক্য ক্ষুণ্ণ হয়।
তো এইখানে লেখকদেরকে আলাদা কইরা মিথ্যাবাদী বলার হেতু কি?
লেখকরা মিথ্যাটা ভালো কইরা বলতে পারে। ইনটেন্সলি বলতে পারে। মিথ্যা যত ইনটেন্স হয়, সত্য তত ভালো কমুনিকেটেড হয়।
।। নভেম্বর, ১৪, ২০১৭। ঢাকা।।