বিগব্যাং নামক এক ঘটনার মাধ্যমে শুরু হইছে সবকিছু। তারপর এইটা ছড়াইয়া গেছে চারিদিকে। এই যে আপনি, আমি, বইসা আছি এই ঘরের মধ্যে, খুবই কম্পলিকেটেড মানুষ হিসেবে, আমরা যেন ঐ ঘইটা যাওয়া ব্যাং এর একদম শেষ মাথায় অবস্থান করা কয়েকটা আলগা সুতা। আমরা হইলাম এই বিগব্যাং এর শেষ প্রান্তের কম্পলিকেটেড ছোট ছোট কতগুলা প্যাটার্ন। খুবই ইন্টারেস্টিং।
কিন্তু আমরা কেবল আমাদেরকে এতটুকুতেই ডিফাইন কইরা ক্ষান্ত হই। আপনি যদি মনে করেন যে আপনি কেবল আপনার শরীরের চামড়ার ভেতরেই অস্তিত্বমান, চামড়ার বাইরে আপনার কোন অস্তিত্ব নাই, তাইলে আপনে নিজেরে সেই বিস্ফোরণের কিনারায় একটা ছোট্ট কম্পলিকেটেড জিনিস হিসেবেই ডিফাইন করবেন। এইটাই স্বাভাবিক। বিলিয়ন বছর আগে আপনে ছিলেন একটা বিগব্যাং, আর এখন আপনে একটা কম্পলিকেটেড মানুষ।
এরপর আমরা এই ব্যাপারটা থাইকা নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন কইরা ফেলি। আমরা আর ফিল করি না যে আমরাই সেই বিগব্যং। কিন্তু আপনে তো সেই বিগব্যাংই। এইটা নির্ভর করে আপনে নিজেরে ক্যামনে ডিফাইন করেন তাঁর উপর। যদি সত্যিই বিগব্যাং দিয়া সবকিছু শুরু হইয়া থাকে, তাহলে আপনি আসলে বিগব্যাং এর আল্টিমেট কোন ফসল না। আপনে কোন পুতুলও না যে কেউ আপনারে তাঁর ইচ্ছামত নাচাইতেছে। বরং আপনি এখনো সেই বিগব্যাং এর প্রসেসের মধ্যেই আছেন। অর্থাৎ আপনিই সেই প্রসেস।
আপনি নিজেই আসলে বিগব্যাং। আপনিই মহাবিশ্বের অরিজিনাল শক্তি, শুধু মানুষরূপে সেইটা আপনে এক্সপ্রেস করতেছেন এই মুহূর্তে। যখন আপনার লগে আমার দেখা হয়, তখন আমি কোন মিঃ ওমক, মিস ওমক, অথবা মিসেস ওমকরে দেখি না। আমি দেখি মহাবিশ্বের সেই আদিম শক্তি একটা নির্দিষ্ট ভঙ্গীতে আগাইয়া আসতেছে আমার দিকে। এবং আমি জানি আমি নিজেও সেই শক্তি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হইলো, আমরা ভাবি আমরা প্রত্যেকেই বোধয় এই শক্তি থাইকা বিচ্ছিন্ন কোন সত্তা।
জুলাই ২৯, ২০১৭।
প্লে টু লিভ।