এতগুলো দিন, আহ! এতগুলো দিন
এতটা কাছে, এতটা স্পষ্ট করে দেখেছি তোমায়
কি করে শোধবো এই ঋণ, কি দিয়ে শোধবো, বলো?
কুঞ্জবনে জেগে উঠেছে
রক্ত পিপাসু বসন্তটা।
শৃগালেরা ছেড়েছে তাঁদের ধরাধাম,
সর্পরা আকণ্ঠ পান করেছে শিশির বিন্দু,
আর আমি, দেবদারু আর নীরবতার মাঝখানে
তোমার সাথে ঘুরে বেড়াই পাতায় পাতায়,
নিজেকে সুধাই, কখন এবং কিভাবে
তোমাকে শোধবো আমার সৌভাগ্যের ঋণ।
সবকিছু, যা আমি দেখেছি,
তোমাকে, শুধু তোমাকেই আমি দেখে যেতে চাইঃ
সবকিছু, যা আমি ছুঁয়েছি,
তোমার শরীর, শুধু তোমার শরীরটাই আমি ছুঁয়ে যেতে চাই।
ভালোবাসি তোমার ঐ মিষ্টি কমলা হাসিটা,
আমার দেহে, আমার মনে আলোড়ন তুলে তোমার ঘুমে বিভোর দৃশ্যটা।
আমি কি করব, প্রিয়া, প্রিয়তমা?
আমি তো জানি না অন্যরা কিভাবে ভালোবাসে
অথবা মানুষ কিভাবে ভালোবেসেছিলো, অতীতে।
আমি বেঁচে থাকি কেবল তোমাকে দেখে, তোমাকে ভালোবেসে।
ভালোবাসাটাই যে আমার স্বভাব!
তুমি আরও মোহনীয় করে তোল আমার প্রতিটা বিকেল।
কোথায় সে? আমি জিজ্ঞেস করি বারবার,
অদৃশ্য হয়ে গেলো কিনা তোমার চোখ।
এত সময় নিচ্ছে কেন সে! মনে হচ্ছে, আমার চোট লেগেছে!
আমি অসহায়, নির্বোধ, আর বিমর্ষ বোধ করি,
তারপর তুমি আসো, তোমার বজ্রপাত
আঘাত হানে ঐ জামগাছগুলোর মাথায়।
এজন্যেই ভালোবাসি তোমাকে, তবু যেন তোমাকে ভালোবাসার কারণ এটা নয়।
ভালোবাসার কত শত কারণ, তবু যেন তেমন কোন কারণই নেই,
ভালোবাসা এমনই, তাঁকে এমনই হতে হয়,
জড়িত এবং আলগা,
ক্ষুদ্র এবং ভয়ঙ্কর,
উল্লসিত এবং শোকাবহ,
তারাদের মতই পুষ্পিত,
আর একটা চুমুর মতই অসীম।
এজন্যেই ভালোবাসি তোমাকে, তবু যেন তোমাকে ভালোবাসার কারণ এটা নয়।
ভালোবাসার কত শত কারণ, তবু যেন তেমন কোন কারণই নেই,
ভালোবাসা এমনই, তাঁকে এমনই হতে হয়,
জড়িত এবং আলগা,
ক্ষুদ্র এবং ভয়ঙ্কর,
উল্লসিত এবং শোকাবহ,
তারাদের মতই পুষ্পিত,
আর একটা চুমুর মতই অসীম।
অনুবাদ। অগাস্ট ০৫, ২০১৬
মূলঃ অ্যামোর— পাবলো নেরুদা