conclusion

প্রদীপটা যখন চূর্ণবিচূর্ণ

প্রদীপটা যখন চূর্ণ-বিচূর্ণ,
ধুলোয় পতিত আলোটা তখন শুয়ে থাকে মৃতের মত;
মেঘগুলো যখন বিক্ষিপ্ত,
রংধনুর উজ্জ্বল রঙ্গই তখন শেষ আশ্রয়;
বাঁশিটা যখন ভাঙ্গা,
তখন কেউ মনে রাখে না তার মধুর সুর;
অধরে যখন কথা ফোটে,
তখন মনে থাকে না কোনো প্রেমালাপ।

বাঁশি নয়, বাতি নয়,
টিকে থাকে সুর, বেঁচে থাকে সৌন্দর্য;
আত্মাটা যখন বোবা হয়ে যায়,
তখন হৃদপিণ্ডের ধুঁক ধুঁক শব্দে কোন সুর ওঠে নাঃ-
সুর নয়, বেজে ওঠে দুঃখের গীত,
ঠিক যেন বিধ্বংস কোষের ভিতর দিয়ে বয়ে চলা বাতাসের আওয়াজ
অথবা সেই শোকের ঢেউ
যা মৃত নাবিকের ঘণ্টায় গিয়ে বাড়ি খায়।

একবার যখন হৃদয় মিশে হৃদয়ে,
প্রেম প্রথমেই তার সুনির্মিত নীড়টাকে ছাড়ে;
হে প্রেম! যে কাঁদে, যে ভেঙ্গে দেয় সবকিছুই,
তাকেই কেন তুমি বেঁছে নাও
তোমার শৈশবে, তোমার ঘরে, তোমার শবাধারে?

যেমন ঝড় কাঁপিয়ে দেয় উড়ন্ত পাখিগুলোকে,
তেমনি তার ভাবাবেগ কাঁপিয়ে তুলবে তোমাকে,
গোমড়া মুখো আকাশে উদিত সূর্যটার মত
শক্ত যুক্তি ব্যঙ্গ করবে তোমাকে,
পচন ধরবে তোমার নীড়ের প্রতিটা ইঞ্চিতে,
যখন পাতা ঝরে ঠাণ্ডা বাতাস
বইতে শুরু করবে, তোমাকে নগ্ন করে দিয়ে
অট্টহাসিতে মেতে উঠবে তোমার ঘর।

তর্জমা
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৬।

মুলঃ হোয়েন দ্যা ল্যাম্প ইজ শ্যাটারড— শেলি

Comments

comments

1,487 views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *