কেড়ে নাও আমার মুখের রুটি, যদি তুমি চাও
কেড়ে নাও নিঃশ্বাসটুকুও, কিন্তু
কেড়ে নিও না তোমার হাসিটা আমার কাছ থেকে।
কেড়ে নিও না গোলাপটা,
তোমার নিজ হাতে তোলা কণ্টকময় ফুলটা,
কেড়ে নিও না হঠাৎ আনন্দে
ফেটে পড়া জলরাশি,
তোমার ভেতর জন্ম নেয়া
রূপোর হঠাৎ তরঙ্গ।
আমার কঠোর পরিশ্রম, আমি ঘরে ফিরি
শ্রান্ত চোখে, যে চোখ ক্লান্ত হয়
অপরিবর্তনীয় পৃথিবীটা দেখে দেখে,
কিন্তু যখনই কানে প্রবেশ করে
তোমার হাসি, আমার সামনে
খুলে যায় জীবনের সকল দুয়ার।
আমার প্রেম, দুঃসময়েও খুলে দেয়
তোমার হাসি, আর যদি হঠাৎ তুমি দেখো
রাস্তার পাথরে লেগে আছে আমার রক্তের দাগ,
হেসো, কারণ তোমার হাসিটাই হবে
আমার হাতে চকচকে ধারালো তরবারি।
শরতে সমুদ্রের পাশে,
তোমার হাসিতেই ফুলে উঠে জলপ্রপাত,
আর বসন্তে, প্রিয়া, আমি চাই তোমার হাসিই
হোক সেই ফুল, যার জন্যে আমি অপেক্ষারত,
নীল ফুল, আমার অনুরণনীয় দেশীয় গোলাপ।
হাসো রাতের উপর,
দিনের উপর, চাঁদের উপর,
হাসো দ্বীপের ঐ আঁকাবাঁকা
পথের উপর, হাসো এই কদাকার
ছেলেটার উপর, যে তোমায় ভালোবাসে,
কিন্তু যখন আমি চোখ খুলি আর বন্ধ করি,
যখন আমার পদক্ষেপ যায় আর ফিরে আসে,
আমায় বঞ্চিত করো রুটি থেকে,
বাতাস থেকে, আলো আর ঝর্ণা থেকে,
কিন্তু কখনই বঞ্চিত করোনা তোমার হাসি থেকে,
করলে আমার মরণ হবে।
তর্জমা
০২/০৪/২০১৬
মূলঃ ইউর লাফটার— পাবলো নেরুদা