মানুষের ইগো আছে। প্রায় সব মানুষেরই। বলা যায় যে ইগো থাকার কারনেই একটা প্রাণীরে মানুষ নামে ডাকা হয়। যার ইগো নাই, সে মানুষ না। ইগো শব্দটার একটা বাংলা অর্থ হইলো অহং। তবে এই বাংলা শব্দটার অর্থের সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে আমি এইখানে ‘ইগো’ শব্দটাই ব্যবহার করব। ইগো জিনিসটা অহংকারের পর্যায়ে পৌঁছাইয়া গেলে তখন মানুষ এইটারে নেগেটিভলি […]
Month: November 2016
মুভি সুইস আর্মি ম্যান (২০১৬) — অ্যা জার্নি বাই ডেড বডি
রিভিওর শুরুতেই রবিনসন ক্রুসোর মত আপনারে আমি একটা বিচ্ছিন্ন জনমানবহীন দ্বীপের মধ্যে নিয়া ছাইড়া দিব। তারপর আপনে জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেইখান থাইকা নিজের ঘরে ফিরা আসবেন। কিভাবে আসবেন? কোন নৌকা, কোন জাহাজ কিংবা কোন ভেলাও পাইবেন না সেইখান থাইকা আসতে। কারণ দ্বিপটা এতটাই লস্ট যে সেইটার আশপাশ দিয়া কোন কিছু যাইতে তেমন একটা দেখা যায় […]
ভালোবাসেন, দায়িত্ব পালন কইরেন না
প্রশ্নঃ নিগৃহীত মানুষের প্রতি সমাজের কি কোন দায়-দায়িত্ব আছে? না নাই। কারণ সমাজ প্রথমেই তাঁর মানুষগুলার জীবনটারে ধ্বংস কইরা দেয়। তারপর এইটা দায়িত্বের কথা বলা শুরু করে। প্রতিটা শিশুরেই এই সমাজ ধ্বংস কইরা দিচ্ছে। সমাজ একটা শিশুরে তাঁর নিজের প্রকৃতি থাইকা ডিসট্র্যাক্ট করে, সে যা হইতে যাইতেছে সেইখান থাইকা তাঁরে ডিসট্র্যাক্ট করে, অস্তিত্ব তাঁরে যা […]
“বেটার ফিউচার” নামক ভবিষ্যতের মূলা
প্রায় সব মানুষেরই বর্তমানটা সবসময় মিজারেবল থাকে। এবং এইটা শুধু ইনডিভিজুয়াল লেভেলে না, ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল লেভেলেও একই অবস্থা। সবসময়ই সবার মনে হয় সময়টা এখন বড় খারাপ, অস্থির। কখন না আবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাইধা যায়! তাই সবাই বর্তমানের চাইতে ভবিষ্যতটা যেন আরও খারাপ না হইয়া যায় সেই চিন্তা কইরা একটা “বেটার ফিউচার” এর জন্যে কাজ […]
কোন সোসাইটিই চায় না আপনি জ্ঞানী হন
কোন সোসাইটিই চায় না আপনি জ্ঞানী হন। আপনে জ্ঞানী হইয়া উঠলে সকল সোসাইটির ইনভেস্টম্যান্টই বিফলে যাইব। মানুষ জ্ঞানী হইলে তাঁরে শোষণ করা যায় না, মানুষ বুদ্ধিমান হইলে তাঁরে বশ করা যায় না। এবং তাঁরে জোর কইরা কোন যান্ত্রিক জীবনের ভেতরে ঠাইসা ঢুকানো যায় না, যেইখানে সে রোবটের মত জীবন যাপন করবে। জ্ঞানী হইলে মানুষ এইসবের […]
ভাবো মাঠের ঐ শাপলাগুলোর কথা
ফুলগুলো ঘোষণা দেয়, উপদেশ দেয়, যদি আমরা শুনিঃ শিশির সিক্ত ভোরে গোলাপটা বলে উঠেঃ আমিই সুন্দরতম; অথচ আমার সবটুকু প্রাণবন্ততা জন্ম নেয় একটা কাঁটার উপর। শস্যের মধ্য থেকে পপি ফুলটা বলে উঠেঃ দেখো আমার অত্যুজ্জ্বল লালবর্ণের মাথাটা, দৃশ্যমান আর আমি পড়ে থাকি তাচ্ছিল্যে; তথাপি আমার কৌতূহলী রঙ্গের কাপে টলমল করে সূক্ষ্ম গুনে গুণান্বিত রস। শাপলারা […]
আপনার দাসত্বের গল্প
আপনে কিভাবে দাস হইয়া উঠলেন সেই গল্পটাই আপনারে এখন শোনাইতে যাইতেছি। এবং পাশাপাশি কিভাবে আপনে এই দাসত্ব থাইকা মুক্তি পাইতে পারেন সেই উপায়টাও এই গল্পের অন্তর্ভুক্ত। যদিও গল্পটা আপনারে নিয়া, তারপরেও এই গল্পের কাহিনীটা শুইনা আপনার কাছে আজগুবি লাগতে পারে। লাগলেও কিছু করার নাই, অথবা গল্পটা অন্যভাবে বলারও কোন উপায় নাই। বললে সেইটা আপনার সাথে […]
ভালোবাসার চৌদ্দ লাইন
তোমায় ভালোবাসি না এই ভেবে যেন তুমি একটা নোনতা-গোলাপ, পোখরাজ কিংবা পুষ্প তীর যা আগ্নি ছড়ায়ঃ তোমায় ভালোবাসি ঠিক যেমন কেউ ভালোবাসে নির্দিষ্ট কিছু আবছা জিনিসকে, গোপনে, ছায়া আর আত্মার মাঝখানে। তোমায় ভালোবাসি গাছের মত, যে গাছ ফুল ফোটায় না কিন্তু বয়ে বেড়ায় ফুলের রঙ, লুকানো, নিজের ভেতর, এবং ধন্যবাদ তোমার ভালোবাসাকে, যার প্রখর সৌরভ […]
তোমার পা
যখন তোমার মুখের দিকে চাইতে পারি না, চোখ রাখি তোমার পায়ে। তোমার বাঁকা হাড়ের পা, তোমার শক্ত ছোট্ট পা। জানি পা দুটো তোমার আলম্বন, তাঁরা বয়ে বেড়ায় তোমার শরীরের মিষ্টি ওজনের ভার। তোমার কটিদেশ, তোমার বক্ষদ্বয়, তোমার স্তনাগ্রের দ্বিগুণিত রক্তবর্ণ। তোমার চোখের কোটরদ্বয় যারা এইমাত্র উড়ে চলে গেল, তোমার প্রশস্ত ফলময় মুখ, তোমার লাল বেণী, […]
অব্যাখ্য
সবকটি ভাষা — সবগুলো শব্দমালা গিলে খেয়ে বসে আছো নিশ্চুপ। একটা শব্দ — একটাও অবশিষ্ট নেই তোমাকে ব্যাখ্যা করার। সবকটি গ্রহ — প্যারালাল সব ব্রহ্মাণ্ড গিলে খেয়ে বসে আছো নিশ্চুপ। একটু জায়গা — তিল পরিমাণও অবশিষ্ট নেই তোমাকে ধারণ করার। আর এইখানে শব্দহীনতায় আমি শব্দ ছুড়ি কুকুরের মুখে হাড্ডি ছোড়ার মতই। আমি অতীত ছুড়ি, ভবিষ্যৎ […]