কেমন হইবো, যদি আপনে ২৫-২৯ বছর বয়সী কোন সুদর্শন যুবক কিংবা সুন্দরী যুবতী হন, আর তখন আপনার বয়স সেইখানেই থাইমা যায়, আর না বাড়ে? অর্থাৎ শত সহস্র বছর ধইরা আপনে টানটান যৌবন উপভোগ করলেন? যেন তেন যৌবন না, ‘ফেয়ার এন্ড লাভলি’ চেহারা যুক্ত যৌবন? নিশ্চয়ই খুব চমৎকার হইব! বড়ই চমৎকার! কারণ, এইটা মানুষের একটা আকাঙ্ক্ষা। যৌবন সহ টিকা থাকার আকাঙ্ক্ষা। অদ্ভুত আকাঙ্ক্ষা। মানুষ অদ্ভুতভাবে তাঁর যৌবনকালরে ভালোবাসে, শিশুকালরে মিস করে আর বার্ধক্যরে ঘৃণা করে। কিন্তু আসল ব্যাপার হইলো, আপনে চির যৌবনা হইলে ব্যাপারটা খুবই জঘন্য হইব। আপনে সত্যিকার অর্থেই এইটা চান না, কিন্তু আপনার আচরণ দেখলে মনে হয় এইটা আপনে খুব কইরা চান। ব্যাপারটা যে কতটা জঘন্য হইব সেইটা কল্পনা কইরা গত বছর হলিউডে একখান রোম্যান্টিক সিনেমা তৈরি হইছে, নাম “দ্যা এইজ অব অ্যাডালাইন”। এই সিনেমায় অ্যাডালাইন নামে যেই কেন্দ্রীয় মাইয়াটা দেখানো হইছে তাঁর চেহারাটা বড়ই সুন্দর। আর হাসিটা এতই সুন্দর যে তাঁর হাসি দেখলে যে কোন ছেলের হৃদপিণ্ড ছিদ্র হইয়া যায়। একবার এই মাইয়ার উপর প্রায় ৭৫০ বোলটেজের একটা ঠাডা পড়ে, কিন্তু মরে না, আর ঠিক সেই মুহূর্তে তাঁর বয়সটা থাইমা যায়। শত বছরেরও উপরে সে যৌবনকালেই আটকা পইড়া যায়। দুর্বিষহ হইয়া পড়ে তাঁর জীবন। যৌবন তাঁরে ক্লান্ত কইরা দেয়। বুড়া হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তাঁরে পাগল কইরা ফেলে। তখন বুঝা যায়, মানুষের বাঁচার আকাঙ্ক্ষা যতটুকু, মইরা যাওয়ার আকাঙ্ক্ষাও ঠিক ততটুকুই। কিন্তু এই সমাজে কেন জানি, মরণটারে সবসময়ই একটা মর্মান্তিক ইনসিডেনট আর বৃদ্ধ হওয়াটারে বাইচা থাকা অবস্থায় একরকম বাতিল হইয়া যাওয়া হিসেবে দেখানো হয়!
অগাস্ট ০১, ২০১৬।