অতএব, তুমি

তুমি আমার মতই, তুমিও মরে যাবে, কিন্তু আজ নয়ঃ
তুমি, অতুলনীয়, বেখাপ্পা, অতএব সময়েরা জ্বলে উঠেঃ
যদি তোমায় আমি বলি, “তোমাকেই আমি বলি”, তুমি কোন
সুর নও, অথবা কোন ভূতুড়ে রেডিওর সরাসরি সম্প্রচার নও,
কখনো কোন তৈলচিত্রও ছিলে না, অথবা কোন বিজ্ঞ মাস্টারের কয়লায় আঁকা
স্কেচও নওঃ তুমি হলে একটা মনুষ্য ছন্দ, সংখ্যা, কণ্ঠ,
এবং স্থান, তোমার নামের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে স্ট্রবেরির সৌরভ
যেন কোন পল্লবিত গুল্মদ্যান, তুমি আমায় স্মরাও কোন এক
বসন্তের কথা, যেখানে জলেরা যতটা ঠাণ্ডা ততটাই স্বচ্ছ
(অনেকক্ষণ আগে ঝরে যাওয়া বৃষ্টির জল লেগে আছে তোমার পাতায়, তাঁরা দুলে উঠে বয়ে চলা মৃদু বাতাসে)
সেখানেই তুমি শুয়ে থাকো শ্যামল চন্দ্রিমা রাতেঃ
এবং তুমি শাপলা, তুমি তারাফুল, শুভ্র ট্রিলিয়াম,
তোমার সর্বস্বত্ব আমার দ্বারা সংরক্ষিত, তুমি একটা শুভ্র তারা, ঘাসে ভরা
আকাশটায়, তুষারেরা এখনো ধেয়ে আসছে তাঁদের পৃথিবীমুখী ভ্রমণ থেকে,
এখানে, যেখানে তুষার নেই ( আমি স্বপ্ন দেখেছি তুমিই সেই তুষার),
তুমি আমার অধিকার, এসেছ আমার রাতে (তোমার শরীর রূপ নিয়েছে আমার ঘুমে
এবং আমার ঘুমের আকৃতি হয়েছে তুমি), তুমি আসমান থেকে গড়িয়ে পড় হাতে
নানান পুষ্প নিয়ে, তোমার মুখ নিঃসৃত শব্দরা ভেসে বেড়ায় তরঙ্গে, তোমার
ঠোঁটে সমুদ্রের মিষ্টি-নোনতা স্বাদ, (গাছেরা আর সমুদ্রেরা উড়ে চলে গেছে তোমায় ভালোবেসে),
কোথাও ঘর নেই, অতএব তুমি, তুমিই আমার ঘর, তুমিই আমার সুর,
তুমিই মুক্ত নামহীন সেই নন্দন-কানন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *