গরিব লোকটি খাচ্ছে

যদি চিত্রশিল্পী হতাম
আমি নিশ্চিত
এই কবিতার শিরোনামই হত
আমার সিগনেচার থিম।
স্বেচ্ছাচারী সূর্যটা দৌড়ে ঠিক মাথার উপরে গিয়ে দাড়ায়
যেন সে প্রাচ্যের কোন এক স্বৈরাচার।
গরিব লোকটি হাঁটুগেড়ে তোষামোদের ভঙ্গিতে
অনুকরণ করে টমি হিলফিগারের পুরনো কাপড় খণ্ডে
একটি ন্যাংটো গাছের
মৃতপ্রায় ছায়ার তলে।

সে হাতে আগলে আছে
পোড়া মাটির একটি বোল—
বোলটা কোন অইজা বোর্ডও হতে পারে
যার মাধ্যমে মন্ত্র পড়ে ভেলকিবাজিতে
শুন্য থেকে নিয়ে আসে আকাঙ্খিত মণ্ডা মিঠাই।

এবং যখন তাঁরা আসে,
ক্ষুধার্ত লোকটি কিভাবে আছড়ে পরে তাঁদের উপর!
নিগূঢ় একাগ্রতায় নিবদ্ধ চক্ষুদ্বয়
বাম হাতটি শক্ত করে আঁকড়ে আছে
খাবারের গাদাটি,
আর ডান হাত খাবার সেটে দিচ্ছে
ক্ষুধার্ত মুখে।

আমি এই দৃশ্যের প্রানবন্ত তৈল ছবি আঁকতাম
একবার, দু’বার, বারবারঃ
আমার এই আঁকা ছবি
হয়তো যাদুর মতই দ্রুত ছড়িয়ে পরত চারিদিকে,
যা আপাত অসম্ভবকে
বোধগম্য সম্ভবে রূপান্তরিত করত।

জগতের সকল দরিদ্র
নারী ও পুরুষ জমা হত এই নিম্ন ভূমির নিচু পৃথিবীতে
একটা পৌরাণিক দিনে
ঠিক যেন শেষবিচারের সেই দিনটায়,
গোগ্রাসে গিলত সব দুনিয়াবি খাবারঃ
ওহ! ঈশ্বরেরা নিচে নেমে আসত
আশীর্বাদ করতে, ভাগাভাগি করতে!

অনুবাদকালঃ মার্চ ০৬, ২০১৬।

মূলঃ পুওর ম্যান ইটিং— কায়সার হক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *