এক খাবলা শূন্যতা, তুমি আর আমি
পুস্কুনির ধারে বইসা আমরা
সামনে টলটলা পানি।
টানটান নীরবতায় শুনতে পাই তোমার নিঃশ্বাসের ফ্যাচফ্যাচ ধ্বনি।
মাথার উপরে ডান কোণায় দুপুরের সূর্যটা
কেমন তেরছা হইয়া আলো দিতাছে,
কোন তাপ নাই।
আচ্ছা, এইটা কি চাঁদ?
তোমার নাকের ডগায় এক ফোঁটা ঘাম
চিকচিক কইরা জ্বলতাছে, সূর্যের আলোয় অথবা চাঁদের আলোয়।
আমার নাক নাই।
একটা কাউয়া পেঁচার কণ্ঠ নকল কইরা সেই কখন থাইকা ডাকতাছে
হুদ—হুদ; বুম…বুম-বউ; দিবি না ঝিদিবি
দেখো, গাছের মগডালে কাউয়াটা ক্যামনে বইসা আছে পেঁচার বেশ ধইরা!
না, এইটা বোধয় পেঁচাই।
আচ্ছা, এখন কি রাত?
পুস্কুনির জলের উপর মাছেরা হাইটা বেড়াইতেছে
ছোট মাছ-বড় মাছ, বড় মাছ-ছোট মাছ
ছোট মাছ ছোট কিন্তু বড় মাছ বড় না।
লম্বা পুস্কুনি, তাঁর উপর হাইটা বেড়ায় মাছেরা।
আচ্ছা, এইটা কি নদী?
তোমার লম্বা চুলে ঢাকা পইড়া আছে তোমার কান
তোমার কান আমি কখনো দেখি নাই
আচ্ছা, তোমার কি কান নাই?
আমার আছে।
তুমি ঘাড় ঘুরাইয়া তাকাইলা আমার দিকে
তোমার সাদা চোখের সাদা চাহনি
ঝইড়া পড়লো আমার শরীরের সবগুলা মাংস
এখন আমি শুধুই কঙ্কাল,
তোমার ভিতরে কঙ্কাল নাই আমি জানি।
এক খাবলা শূন্যতা
পুস্কুনি অথবা নদীর ধারে বইসা আছি
তুমি অথবা আমি
সামনে টলটলা পানি।
শরিফুল ইসলাম
কবিতা। সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬।