মানুষের স্যানিটি আর ইনস্যানিটির মধ্যকার যে পার্থক্য—এই দুটো মানসিক অবস্থানের মধ্যবর্তী স্থানে যেটা থাকে, সেটা একটা থিন লাইন। একটা সুতো। যে যতদিন এই সুতোটা ধরে রাখতে পারে, সে ততদিন নিজেকে উন্মাদ হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে। ক্ষণে ক্ষণে এই সুতোটা আমরা সকলেই অবশ্য হারিয়ে ফেলি কিংবা সুতোটা ঠিক আমাদের হাতেই থাকে, কিন্তু আমরা সে কথা […]
কনশাসনেস, সেল্ফ এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
আজ থেকে অনেক বছর পরে—এত পরে যখন পৃথিবীর সর্বশেষ মানুষটিরও আর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই—তখন—কোন এক বিকেল বেলায় তিনটা রোবটকে দেখা গেল গভীর কৌতূহল নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে, এটা-সেটা হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখছে। পৃথিবী থেকে মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও তখনও রয়ে গেছে তাদের ফেলে যাওয়া অবকাঠামো। খসে পড়া দেয়াল নিয়ে তখনও দাঁড়িয়ে আছে মানুষের তৈরি […]
কিলার স্যুপ
জগতের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চাইনিজ মিথোলজিতে বলা হয়, জগত এক বস্তুগত শক্তির প্রাথমিক ক্যাওস থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে সৃষ্টি পরবর্তী জগত নিজেই নিজেকে একটা সাইকেলের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে ফেলেছে। এক্ষেত্রে জগতের সকল শক্তি মূলত দুইটা রূপ ধারণ করে আছেঃ বস্তু আর প্রাণ। চাইনিজ দর্শনে জগত শৃঙ্খলের সাইকেলটাকে বলা হয়, ইন এবং ইয়াং। ইন এবং ইয়াং হল […]
প্রাণের নাশ এবং সাইক্লিক্যাল রিয়্যালিটি
ভিয়েতনামিজ আধ্যাত্মিক গুরু থিচ নাট হানের মা মারা যাওয়ার পর প্রায় বছর দেড়েক তিনি গভীর শোকে আচ্ছন্ন ছিলেন। মায়ের মৃত্যুর মত এমন ব্যথা তিনি তার জীবনে আর কোনকিছুতেই পান নি। মা ছিল, এখন আর নেই, এই বিষয়টা তার মন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলো না। একটা মানুষ ‘ছিল’ থেকে কীভাবে ‘নাই’ হয়ে যেতে পারে এটা তিনি […]
রিয়্যালিটি কোনদিকে বহে?
অতীতে মানুষ কেমন ছিল? তুলনামূলক সুখী? নাকি দুঃখী? অতীত বলতে কত দূরের অতীত? দশ বছর আগের? নাকি দশ হাজার বছর আগের? অতীতকে নিয়ে ব্রিটিশ উপন্যাসিক এল. পি. হার্টলি বলেছিলেন, অতীত একটা ভিনদেশঃ ঐ দেশের মানুষদের কাজকর্ম ছিল ভিন্ন। অর্থাৎ, আমরা এখন যা যেভাবে করি, আমাদের পূর্বপুরুষেরা কিংবা নারীরা তা সেভাবে করতো না। হার্টলির এই কথার […]
জীবনের মূল সাধনা কোনটা?
মনুষ্য ইগো বহির্জগতের সবকিছুকে জয় করার যে প্রবণতা ধারণ করে সেটা শানিত হয়ে উচ্চমার্গে গিয়ে পৌঁছায় তখন, যখন সে নিজের প্রবৃত্তিকে জয় করতে আগ্রহী হয়ে উঠে। এটা যেহেতু অন্তর্জগতের কাজ, তাই কাজটা বেশ কঠিন। এই কাজে নামার কথা ভাবতেও দরকার পড়ে এক ধরণের পরিপক্বতার। এর জন্যে মানুষ আধ্যাত্মিক সাধনায় নিমগ্ন হয়। সাধনা কী? বহির্জগতের কোনকিছুকে […]
সাইকোলজিক্যাল ব্লাইন্ড স্পট
যখন আপনি আপনার প্রিয়তমার স্নিগ্ধ মুখের দিখে মুগ্ধ নয়নে অপলক তাকিয়ে আছেন, তখন যদি দেখতে পান যে, তার ডান গালে কিংবা কপালে কিংবা চিবুকে কিংবা গলা থেকে বুকের দিকটায় একটা কালো গর্ত দৃশ্যমান হয়ে আছে, এতে আপনার মুগ্ধ হওয়ার প্রবাহটায় একটু ছেঁদ পড়তে পারে অথবা অনেকটাই। কিন্তু আপনি তো এমন গর্ত দেখতে পান না। অথচ […]
দ্যা কিলার
এমপ্যাথি। মানুষের একটা ইভ্যুলুশনারি চারিত্রিক গুণ। মানুষ ছাড়াও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে এমপ্যাথির উপস্থিতি দেখা যায়। এটা নিজেকে অন্যের জায়গায় দাঁড় করিয়ে অন্যকে দেখার, অনুভব করার গুণ। এটা হতে পারে দুঃখে কিংবা সুখে। মানুষসহ সকল প্রাণীকুল মূলত সেলফিশ। জেনেটিক্যালি একটা প্রাণীর প্রধান প্রকৃতি হলো নিজেকে বাঁচানো। কিন্তু রিয়্যালিটি এমন যে, এখানে নিজেকে বাঁচাতে হলে অন্যের সাথে […]
লাইফ অন আওয়ার প্ল্যানেট
প্রাণ কী? প্রাণের ধর্ম কী? সাধারণ সংজ্ঞায়, প্রাণ হল এমন একটি অবস্থা, যা একটি জীবকে জড় পদার্থ (প্রাণহীন) ও মৃত অবস্থা থেকে পৃথক করে। অর্থাৎ, যে-কোন জড় বস্তু কিংবা অবয়বে যখন প্রাণের সঞ্চার হয়, তখন সেটা নড়াচড়া করে, খায়, ঘুমায় আর অনুভূতি বহন করে, যেখানে জড় বস্তু এর কোনটাই করে না। প্রাণের সঞ্চার ঘটে কীভাবে? […]
সাইকোলজিক্যাল ইমিউন
মাছের মধ্যে বেশ কিছু প্রজাতি আছে যেগুলোর শারীরিক গ্রোথ সারাজীবন ধরে চলতে থাকে। অর্থাৎ, একটা পূর্ণাঙ্গ জীবন পেলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এরা গায়ে-গতরে বাড়ে। যেমন, নাইল পার্চ নামে আফ্রিকান একটা মাছ আছে, পূর্ণ জীবন পেলে যেটার দৈর্ঘ্য প্রায় সাত ফুটের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ায়। এসব মাছের শারীরিক গ্রোথ অল্প বয়সে অনেক দ্রুত ঘটলেও শেষের দিকে গিয়ে […]